চীন-ভারত উত্তেজনা ‘নেক্সট এশিয়া’-র পথে বাধা

স্বদেশ রায়
Published : 30 June 2020, 02:12 PM
Updated : 30 June 2020, 02:12 PM

'নেক্সট এশিয়া' একটি স্লোগান শুধু নয়, এ বাস্তবতাও বিশ্ব অর্থনীতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এখন কবে এশিয়া অর্থনীতিতে পৃথিবীকে শাসন করবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে মোটামুটি একটা কাছাকাছি হিসেবে সবাই এসেছেন, সেটা আগামী পঞ্চাশ বছরের পরে (হয়তো সেটা আরো দেরি হতে পারে)। অনেকে একটু বাড়তি মনে করেন, আগামী পঞ্চাশ বছর পরে আমেরিকা নয় চীনই পৃথিবীর এক নম্বর অর্থনীতি হবে।

তবে বেশিভাগ বিশ্লেষক যেটা মনে করেন, তাছাড়া যে বাস্তবতার দিকে পৃথিবী এগিয়ে চলেছিল (করোনাভাইরাস পূর্ববর্তী অর্থনীতির হিসেবে, কারণ পরবর্তী পৃথিবী কী হবে তা এ মুহূর্তে স্পষ্ট নয়) তাহলো পরিবর্তিত পৃথিবীতে একক বা দুই পরাশক্তিতে বিভক্ত কোনও অর্থনৈতিক বা সামরিক পরাশক্তি থাকবে না। একটা বহুমূখী অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির পৃথিবী হবে। এবং এশিয়ার অনেকগুলো অর্থনীতি তখন মিলিতভাবে পৃথিবীর বড় অর্থনীতি হবে। সেক্ষেত্রে এশিয়ায় চীন, ভারত, জাপান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অনেকগুলো দেশের অর্থনীতি মিলে এশিয়ার অর্থনীতি পশ্চিমের থেকে অনেক বড় অর্থনীতি হবে। এবং এশিয়ার অর্থনীতিতে গুণগত মানেরও অনেক পরিবর্তন আসবে। যেমন, প্রথম যে পরিবর্তন হবে তাহলো এশিয়ার নিজের বাজার শক্তিশালী হবে। এশিয়ার অর্থনীতি বর্তমানে প্রতিদিন ভালো হচ্ছে ঠিকই তবে তারপরেও এখনও এশিয়া প্রোডাকশন হাউস। এশিয়াতে অনেক পণ্যের উৎপাদন হচ্ছে। পশ্চিম থেকে অনেক ছোট পণ্যের উৎপাদন এশিয়াতে এসেছে ঠিকই তারপরেও এই পণ্যের বড় বাজার এখন পশ্চিমা বিশ্ব। নিজেরা নিজেদের পণ্যের সব থেকে বড় বাজার হবার মত অর্থনীতি এখনও এশিয়া ওইভাবে হয়ে উঠতে পারেনি। তবে এটা ঠিক গত এক দশকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আর এই পরিবর্তনের কারণে এশিয়ার অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি ভালো হয়ে উঠছে। পশ্চিমের অনেক পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্রেরও মালিক হচ্ছে এশিয়া।

এশিয়ার এই অর্থনৈতিক পরিবর্তনকে পশ্চিমা বিশ্ব ঠেকিয়ে রাখতে চাইবেই। এটা যে কোনও রাজনীতি ও অর্থনীতির ধর্ম যে উঠতি অর্থনীতিকে তাদের ঠেকাতে হবে। পুরোনো অর্থনীতি ও রাজনৈতিক আধিপত্য ধরে রাখার জন্যে। আবার অনেক উঠতি অর্থনীতি অনেক সময় ভুল করে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। বিশেষ করে নিজেকে যুদ্ধ বিগ্রহের সঙ্গে জড়িয়ে এ কাজ করে। যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে জার্মানি হিটলারের নেতৃত্বে ইউরোপের অনেক বড় অর্থনীতি হয়েছিল। হিটলার যদি প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়তো তাহলে ইউরোপের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস ভিন্ন হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ না হলেও ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের কলোনি আর বেশি দিন ধরে রাখতে পারতো না ঠিকই- তবে তাদের অর্থনৈতিক কাঠামো অতটা ভেঙ্গে যেত না যতটা ভেঙ্গে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে। তাই আজ যে ইউরোপের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পৃথিবীর রাজনীতি ও অর্থনীতির কেন্দ্র যে ইউরোপ থেকে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়েনে চলে যায় তারাও কারণ খুঁজতে গেলে খুব বড় আকারে আসবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এবং আরো নিখুঁতভাবে খুঁজলে কারণ হিসেবে সামনে আসবে হিটলারের প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া। কারণ যুদ্ধ এমন একটা বিষয় যে শুরু করা যায় নিজের ইচ্ছে মতো কিন্তু তার শেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা কেউ বলতে পারে না। যেমন হিটলার যখন যুদ্ধ শুরু করেছিলেন তখন তিনি নিজেও জানতেন না একদিন তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করবেন। অন্যদিকে যুদ্ধে প্রায় অর্ধেক সময় পার হয়ে গেলেও কারো কাছে স্পষ্ট কোন ধারণা ছিল না যে জাপান আমেরিকা আক্রমণ করবে আর যুদ্ধে ইঙ্গ- মার্কিন- সোভিয়েত জোট হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ইউরোপের এই ক্ষয়িষ্ণুতার ইতিহাসসহ পৃথিবীর আরো অনেক অতীত ইতিহাস মাথায় রেখেই এশিয়াকে পৃথিবীতে 'নেক্সট এশিয়া' বা পরবর্তী পৃথিবীর অর্থনীতির নিয়ামক হতে হবে। মনে রাখা দরকার সপ্তদশ শতক অবধি ভারতের অর্থনীতি এবং চীনের অর্থনীতি সহ সমগ্র এশিয়ার অর্থনীতি ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনীতির থেকে অনেক বড় অর্থনীতি ছিল। কিন্তু সেদিন ভারত নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারেনি আর চীন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারেনি। এই দুই কারণেই এশিয়া ইউরোপ থেকে পিছিয়ে পড়ে। এশিয়ার ভেতর কেবল জাপান টিম টিম করে ইউরোপের সঙ্গে কিছুটা তাল মিলিয়ে চলে।

প্রায় চার শতক পরে এশিয়ার সামনে আবার সময় এসেছে পৃথিবীর অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেয়ার। এশিয়ার এই সুযোগকে ইউরোপ ও আমেরিকা নষ্ট করার সব কিছু করবে। কিন্তু সেখানে এশিয় দেশগুলোকে খুবই শান্ত মাথায় এগোতে হবে। এবং এই শান্ত মাথার সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে সরকারের জনগনের কাছে দায়বদ্ধতা। যে দেশের সরকার জনগণের কাছে যতবেশি দায়বদ্ধ ওই সরকারের মাথা ততবেশি শান্ত হয়। আর এখানেই ঘাটতি রয়েছে এশিয় দেশগুলোতে। এশিয়ায় খুব কম দেশেই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার। প্রথমত এশিয়ার সব থেকে বড় ইকোনমি চীন কমিউনিস্ট- অথরেটিয়ান সরকার। তাছাড়া বাদবাকী যে সব দেশে গণতন্ত্র আছে সেখানে এক নেতা কেন্দ্রিক সরকার। তাই নির্বাচিত সরকার হলেও তারা অনেকখানি অথরেটিয়ান। দৃশ্যত মনে হয় অথরেটিয়ান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে সুবিধাজনক। হয়তো কিছুটা পর্যায় অবধি সুবিধা হলেও হতে পারে। তবে সার্বিক উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদী যে উন্নয়ন সেটার জন্যে উদার মানসিকতার অনেক বেশি দরকার। তুলনামূলক উদার গণতন্ত্রের কারণেই আমেরিকা এখনও অবধি ধারাবাহিক তাদের একটা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধরে রেখেছে। আর তাদের যে ক্রমপতন হচ্ছে তা কিন্তু সারা বিশ্বে নানানভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ফলে যে অথরেটিয়ান আচরণ তারা করছে তার জন্যে। এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া এবং অতিরিক্ত স্থানে নিজস্ব আধিপত্য বিস্তারে দৃশ্যত অনেক দেশ মনে করে তাদের অর্থনীতির বিস্তার ঘটবে। কিন্তু ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এমনকি যদি রোমান সামাজ্র্য থেকে এ অবধি ধরা হয় তাহলে দেখা যায় এই অতিরিক্ত আধিপত্য বিস্তারই নিজস্ব অর্থনীতি ও রাজনৈতিক আধিপত্য ধ্বংসের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এশিয়া যে সময়ে ধীরে ধীরে পরবর্তী পৃথিবীর অর্থনৈতিক নেতা হবার পথে হাঁটছে এ সময়ে এশিয়ায় সব থেকে বড় ভুল করছে চীন। তাদের প্রথম ভুল, সাউথ চায়না সি নিয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় ও পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়া। ফিলিপিন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, ব্রুনাই প্রভৃতি দেশগুলোরও দাবি আছে সাউথ চায়না সি এর ওপরে। কিন্তু এদের কারো দাবিই চীন স্বীকার করতে চায় না। তাদের সঙ্গে কোন আলোচনায়ও যেতে চায় না। বরং চীনের একদল নীতি নির্ধারক চান কামানের মুখে এই সমস্যার সমাধান করা। যদিও সেটা চায়নার সার্বিক নীতি নয়। কারণ, চায়নার খুব উঁচু মাপের থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তারা এ সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে চান। এমনকি সাউথ চায়না দিয়ে যে সিল্করুটও চীন চালু করতে চায় সেটাও তারা আলোচনার পথে এগুতে চায়। অন্যদিকে চায়নার সরকারী পর্যায় থেকে অনেক সময় বলা হয় কামানের মুখে এ সব সমস্যার সমাধান হবে। এই আধিপত্যবাদের মূলে যে সম্পদ অর্থাৎ বছরে সাউথ চায়না সি দিয়ে ৫ ট্রিলিয়ন বাণিজ্য এবং ২৮ বিলিয়ন ব্যারেল তেল ও ২৬৬ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাস সম্পদের মজুদ। চায়না এককভাবে এই সম্পদের মালিক হতে চায়। আর চায়নার এককভাবে এই চাওয়া কিন্তু এশিয়ার রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন আসতে বাধ্য করছে। চায়নার এই একক আধিপত্য রুখতে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন আমেরিকার সঙ্গে মৈত্রী গড়ে তুলেছে।

অন্যদিকে সাউথ চায়না সি-তে একক আধিপত্য হলে সেটা জাপানের জন্যেও হুমকি তাই জাপানকে আবার সামরিক আধিপত্য গড়ার অনেক সুযোগ দিয়েছে আমেরিকা। এছাড়াও সাউথ চায়না সিতে চীন যদি এই আগ্রাসী নীতি নেয় তাহলে সেটা ভারত মহাসাগরকেও নিরাপদ রাখে না। তাই স্বাভাবিকই প্রস্তাব এসেছে ভারত- অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও জাপানের 'কোয়াড' গড়ে তোলা। ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও জাপানে যদি আমেরিকার আধিপত্য থাকে এবং যদি এই 'কোয়াড' গড়ে ওঠে তাহলে স্বাভাবিকই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এশীয়দের এশিয়া বা সেই আকাঙ্ক্ষিত 'নেক্সট এশিয়া' তে পৌাঁছানো। এবং দীর্ঘ সময় ধরে চীন ও এশীয় এই দেশগুলোসহ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার এই টানাপড়েন চলছে। তারপরেও এই টানাপড়েন বড় কোন সংঘাতে রূপ না নেওয়ার ফলেই এশীয় অর্থনীতি কিছুটা বাধা পেলেও এগিয়ে চলেছে । তবে অর্থনৈতিক ভাবে এগোলেও রাজনৈতিক আধিপত্যর ক্ষেত্রে এশীয় স্বাধীনতা বা এশীয় নেতৃত্ব বড় হয়ে সামনে আসেনি। বরং পশ্চিমা অনেক আধিপত্য রয়ে গেছে। এখানে একটা কথা মনে রাখা ভালো, অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপ পিছিয়ে পড়লেও ইউরোপের অনেক সামাজিক কালচার ও রাজনৈতিক কালচারকে এশীয় কালচারের সঙ্গে একীভূত করে এমনিক ইউরোপীয় অনেক দর্শন এশীয় আচরণের সঙ্গে একীভূত করে তবেই এশিয়াকে এগোতে হবে। তাই ইউরোপের একটি ভাষাগতও মনোজাগতিক প্রভাব থেকেই যাবে এশিয়াতে। যাকে কেবল পরাভূত করতে হবে অর্থনীতি দিয়ে। তাই এখানে কোন এশীয় দেশ আগ্রাসী হলেই থমকে যাবে এশীয় অর্থনীতি।

যেমন এ মুহূর্তে ভারতের সীমান্ত লাদাখের গোলানে চীন যে আচরণ করেছে এটা যদি অচিরেই আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি না করে এবং সব ধরনের আগ্রাসী ভূমিকা থেকে পিছিয়ে না যায় তাহলে একেবারেই না হোক খুব বড় আকারে থমকে যাবে 'নেক্সট এশিয়া' নামক স্বপ্নটি। কারণ, চীন যখনই আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে আসবে তখনই ভারতের তার শুধু স্থল সীমান্ত নয় ভারত মহাসাগরও রক্ষা করার প্রয়োজন দেখা দেবে।

তখন এশিয়ার ভূ রাজনীতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে। এবং সেটা সব থেকে বড় আকারে বদলাবে সাউথ চায়না সিতে ও ইন্দো-প্যাসিফিকে। কেউ বলতে পারেন চীন আক্রমণ করবে লাদাখ দিয়ে, অরুনাচল দিয়ে নেপাল সীমান্ত দিয়ে কিন্তু তার বদলে সাউথ চায়না সি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক বদলে যাবে কেন? এখানে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার ভারত একশ ত্রিশ কোটি মানুষের একটি দেশ এবং যাদের প্রায় সাড়ে বারো লাখ অ্যাক্টিভ এবং প্রায় দশ লাখ রিজার্ভ ল্যান্ড ফোর্স আছে তাদের ভূমি সহজে দখল করা যায় না। সেখানে ভূমি দখল করতে গেলে স্তালিনগ্রাদ, লেলিনগ্রাদ তৈরি হয়। তাই এসব যুদ্ধ সীমান্ত যুদ্ধ ও সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই থাকে। কিন্তু এর ফল হয় খুবই সুদূর-প্রসারী। অর্থাৎ চীন এ পথে হাঁটলেই দ্রুত বাস্তবে রূপ নেবে 'কোয়াড' আর সেই সুযোগে আমেরিকা ইন্দো-প্যাসিফিকে তাদের শক্তি আরো বাড়াবে। এবং তখন সাউথ চায়না সি এর সম্পদের ভাগ নেওয়ার জন্য ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তাইওয়ান প্রভৃতির মাধ্যমে সেখানে তাদের শক্তি বাড়বে। সামরিক শক্তি আরো বেশি বাড়াবে জাপান। এবং তখন স্বাভাবিকই এশিয়ার সব দেশকে সামরিক শক্তি বাড়াতে হবে। প্রতিটি দেশই দূরে চলে আসবে টেকসই ও কম বৈষম্যের অর্থনীতি গড়ে তোলা থেকে। এর ফলে স্বাভাবিকই বাধা পড়বে 'নেক্সট এশিয়া' পথ চলার। আর এভাবে যদি অন্তত দুটো দশক পার করে দিতে পারে পশ্চিমা বিশ্ব তাহলে ইতিহাসের চাকা ঘুরেও যেতে পারে।

তখন হয়তো দেখা যাবে এশিয়া কক্ষচ্যূত হয়ে গেছে। আর যদি এশিয়া কক্ষচ্যূত হয় তাহলে সার্বিকভাবে অনেকগুলো এশীয় দেশ ও তাদের নেতা দায়ী হবেন। তবে খুব নিবিড়ভাবে যারা ইতিহাসকে খুঁজবে তারা ইউরোপ যেমন সর্বোপরি তাদের ধ্বংসের জন্যে হিটলারের জার্মানিকে দোষ দেয় তেমনি এশিয়া তখন দোষ দেবে শি জিন পিং এর চীনকে।

তাই এশিয়ার ভবিষ্যত ও তার অনিবার্য অর্থনীতির কথা চিন্তা করে এখনই এশীয় দেশগুলোকে ভারত ও চীনের সীমান্ত সংঘাত থামাতে বলতে হবে। উদ্যোগ নিতে হবে আসিয়ান সহ সকল ফোরামকে।