শেখ হাসিনা সরকারের ছিল সীমাহীন অন্যায্য আচরণ, নিষ্ঠুরতা, জেল-জুলুম, দুর্নীতি ও অপশাসন। ছিল গণতন্ত্রহীনতা, যা মূলত মানুষের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহ তৈরি করেছে। হাসিনা সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে তির্যকভাবে দেখার সুযোগ রয়েছে। তাই বলে স্মৃতির জাদুঘর ভাঙতে হবে?
Published : 08 Aug 2024, 03:29 PM
শান্তিতে নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থী ২০০৮-এ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন। এ সফরে তিনি একটি গল্প শুনিয়েছিলেন। গল্পটি ছিল অনেকটা এরকম–
‘‘বনে আগুন লেগেছে। বনের সব পশু-পাখি প্রাণ বাঁচাতে বন ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। একজন ঋষি দূর থেকে আগুনের ভয়াবহতা দেখছেন। হঠাৎ তিনি দেখলেন একটি পাখি বনের দিকে ছুটে যাচ্ছে। ঋষি পাখিটিকে জিজ্ঞেস করলেন, সবাই যখন বন ছেড়ে পালাচ্ছে তখন তুমি বনের দিকে ছুটে যাচ্ছ কেন? পাখিটি প্রতিউত্তরে ঋষিকে বলেছিল, আমি এ বনে বাস করি। এ বন ভালোবাসি। জানি এ প্রবল আগুন আমি নিভাতে পারব না। তারপরও ছুটে যাচ্ছি দুফোঁটা চোখের জল ফেলতে যদি আগুন কিছুটা প্রশমিত হয়।’’
দেশ পুড়ছে। ধুপধাপ মানুষ পড়ছে। সম্পর্ক পুড়ছে। বাড়ি-ঘর দালানকোঠা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। দেশ আজ ভয়, আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার অভয়ারণ্য। চারদিকে সত্য ও গুজব দুটোর মিশেল চলছে। সত্যের যেমন ক্রেতা রয়েছে তেমন রয়েছে মিথ্যার। মানুষ দুটোই কিনছে। চারদিকে ঘনঅন্ধকার। অপরিশোধিত মানুষের বিচরণ চারদিকে।
কোনো শাসন ছাড়া মানুষ যে আচরণ করছে তাতে প্রাণিকূলের সঙ্গে পার্থক্য করা কঠিন হচ্ছে। প্রাণিকূল প্রাকৃতিক আইনের অধীন অনেক শৃঙ্খলিত। বন হলো শৃঙ্খল ও সহঅবস্থানের সূতিকাগার। কিন্তু সমাজে বাস করতে মানুষের শাসক লাগে, আইন-কানুন বিধিবিধান লাগে। ৪৮ ঘণ্টা তার শাসক না থাকলে এলোমেলো হয়ে যায়।
শাসিত না হতে পারলে জনগণ নিজেদের ধরে রাখতে পারে না। ঘৃণ্য প্রবৃত্তি জেগে উঠে। হিংস্র হয়ে উঠে। বর্বরতা জেকে ধরে। আইন ও শাসনের মারপ্যাচে থাকতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করে। অনেকে বলছেন, দ্রুত অন্তবর্তীকালীন সরকার আসুক না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বোঝা যাচ্ছে, শাসনের অভ্যস্ততার বাইরে জনগণ থাকতে নারাজ।
বর্ষার পানিতে খালবিল উপচে গেলে মাছেরাও স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মুক্তবিহঙ্গের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর শাসকহীন বাঙালি হয়ে উঠে এক হৃদয়হীন সত্তা।
শাসিত হওয়া বাঙালির সাধনা। স্থিতি না থাকলে কী পরিস্থিত হয় তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে। সহিংস পরিস্থিতিতে ঠান্ডা ও শান্ত থাকাই মনুষ্যত্বের পরিচয়।
লুটপাট, ভাঙচুর, হানাহানি কেবল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দ্বারা ঘটছে এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা নোংরা মানুষগুলো বেরিয়ে আসছে। লুটপাট ও সহিংসতায় মেতেছে তারা।
রাজা শশাঙ্ক মারা যাওয়ার পর ৬৫০ থেকে ৭৫০ মেয়াদে গৌড় (বাংলা অংশ ছিল) প্রায় ১০০ বছর কোনো শাসক ছিল না। এ সময় হলো মাৎস্যন্যায়ের যুগ। বড় মাছ যেমন ছোট মাছদের খেয়ে ফেলে তেমন সমাজের ক্ষমতাবানরা ক্ষমতাহীনদের খেয়ে ফেলছিল।
পাল বংশের প্রতিষ্ঠা রাজা গোপাল এ পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করেন। তিনি প্রকৃতিসভা নামে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো দাঁড় করান। যেখানে সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। এ মুহূর্তে দেশ প্রায় মাৎস্যন্যায়সদৃশ গহীন অন্ধকারে।
গ্রাম খবর পাচ্ছি, পাচ্ছি উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরের। সরেজমিনে দেখেছি গণভবন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর। কী হিংস্রতা, বর্বরতা, চাষ হয়েছে দীর্ঘকাল। মনে পড়ছিল কবি গুরুর সেই অমেয় বাণী– ‘‘সাতকোটি সন্তানের যে মুগ্ধ জননী রেখেছো মানুষ করে বাঙালি করে মানুষ করোনি” বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন– “কবিগুরু আজ দেখে যান বাঙালি মানুষ হয়েছে। সত্যি কী বাঙালি মানুষ হয়েছে?”
গণভবন ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নির্মমতার ছাপ দেখে সুস্থ থাকা কঠিন। ৩২ নম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। তবে কী আমরা ইতিহাস মুছতে উদ্যত হলাম। জানি আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে একক সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর পুনঃপুনঃ উপস্থাপন বিরক্তির উদ্রেগ ঘটিয়েছিল। তাই বলে ক্ষোভ, দ্রোহে বঙ্গবন্ধুকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে? প্রিয় শিক্ষক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের দুই যুগ আগে লেখা মেঘবিবরণ কবিতা থেকে কয়েকটি লাইন যুক্ত করছি–
‘‘সমভূমি জুড়ে জনকের ছবি মেঘরাও তাও খুঁড়ে
পুরানো নদী বুকে নড়নড়ে
ও নদী কিংবদন্তির কোন গান গাও
তুমুল ভয়ে চুপ করে আছে অনাদী বৃক্ষরাও!”
বঙ্গবন্ধুর প্রতি এ তীব্র আঘাত মানা যায় না। গতকাল যখন ৩২ নম্বরে ভষ্মীভূত বাড়িতে ঢুকব এক তরুণী একটি প্ল্যাস্টিকের বোতল ধরিয়ে বললেন, ভেতর যাচ্ছেন, আমার জন্য অনুগ্রহ করে এ বোতলে একটু ছাই এনে দিবেন। বললাম, আপা, আমার হৃদয় পুড়ছে। তিনি প্রতিউত্তরে বললেন–আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।
বঙ্গবন্ধুকে দলীয় সংকীর্ণতার বাইরে দেখতে হবে। বঙ্গবন্ধু কোনো ধরনের আক্রোশের শিকার হতে পারেন না। দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ,মুর্যাল ধ্বংস করা হবে এমন ঘোষণা তো আন্দোলন থেকে কখনও আসেনি। গতকাল পর্যন্ত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিল।
৩২-নম্বর আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। মেজর জলিলের সেই প্রখ্যাত বইটির শিরোনাম ধার করে বলতে চাই– অরক্ষিত স্বাধীনতা মানেই পরাধীনতা। দুঃখের ব্যাপার হলো, বঙ্গবন্ধুর প্রতি যে আক্রমণ তার প্রতিকার বা প্রতিরোধে কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা বা পদক্ষেপ দেখিনি। কোনো যুক্তিতেই এ সহিংসতা মানা যায় না।
মনে রাখতে হবে, কোনো পরিশীলিত ও রুচিশীল মানুষ পক্ষে ন্যায় নিষ্ঠুরতা দেখানো সম্ভব নয়। রাজনৈতিক সহিংসতা নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ দীর্ঘসময় ধরে এ সহিংসতার ভেতর বাস করছে। মানুষ যৌথভাবে এ সহিংসতাগুলো রুখেও দিয়েছে। এমন নজির একদম কম নয়।
যে কোনো বৈরি পরিস্থিতিতে মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দলমত নির্বিশেষে দুষ্কৃতদের, লুটেরাদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। রাজশাহীর একজন সিনিয়র সাংবাদিক বন্ধু জানালেন, গত পরশু রাতে রাজশাহী বরেন্দ্র জাদুঘর লুটপাটের জন্য এক দল মানুষ ছুটে আসছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন সংবদ্ধ হয়ে সারারাত জাদুঘর পাহারা দিয়েছে। জাদুঘর লুণ্ঠন আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে ক্ষমতার পালাবদলের কী সম্পর্ক থাকতে পারে?
আরেকটি খবর শুনে চোখে জল এলো। রাজশাহী গোদাগাড়ীর উপজেলার প্রসাদপাড়া গ্রামে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। পিকনিক শেষে প্রবীণ ও নবীনা পারষ্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতবদ্ধ হন।
শেখ হাসিনা সরকারের ছিল সীমাহীন অন্যায্য আচরণ, নিষ্ঠুরতা, জেল-জুলুম, দুর্নীতি ও অপশাসন। ছিল গণতন্ত্রহীনতা, যা মূলত মানুষের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহ তৈরি করেছে। হাসিনা সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে তির্যকভাবে দেখার সুযোগ রয়েছে। তাই বলে স্মৃতির জাদুঘর ভাঙতে হবে? উন্নয়নের ধ্বজাধারী শেখ হাসিনার শাসনামলে মানুষ ছিল এক অস্বস্তিকর অবস্থায়।
আওয়ামী লীগের শাসনের একটি বিশেষ দিক হলো তারা অনেক বড় বড় অবকাঠামো বানিয়েছে। একই সঙ্গে জনগণকে বড় ও ছোট সবধরনের আঘাতও দিয়েছে। তাদের ক্ষমতার দাপট, টাকার দাপট, সবকিছুর করে ফেলার দাপট মানুষ নিতে পারেনি। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার তারা অনেক অন্যায্য বিষয়কে ন্যায্য বানানোর চেষ্টা করেছে। যেমন– তিনটি ভোটারবিহীন একপাক্ষিক সাজানো নির্বাচন। একটি প্রজন্ম ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
উন্নয়নের দিক বিবেচনা করলে গোটা বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ সরকার একটি প্রকল্প বানিয়ে ফেলেছিল। জনগণ প্রকল্পশাসিত দেশে বাস করতে বাধ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনের ধাক্কায় রাষ্ট্র কাঠামো থেকে মানুষ ছিটকে পড়েছে। মানুষের ভেতর তৈরি হয়েছে একধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ যে আমি এ রাষ্ট্রের কেউ নই।
শেখ হাসিনার সরকার অনেক হাইভোল্টেজ ইভেন্ট করেছে। এত বড় উদ্বোধন, আন্তর্জাতিক সাফল্য, প্রচারকূলের কোরাস সাধারণ মানুষ প্রায় বোকা বনে গিয়েছিল। নানা প্রতিকূলতায় মধ্যও মানুষ বিশ্লেষণী শক্তি ধরে রেখেছে। দেখেছে চোখের সামনে গড়ে উঠা দূষিত অর্থপ্রবাহে এক ক্যাশবেইজ শ্রেণি। যাদের স্থাবর সম্পদ কম কিন্তু অস্থাবর সম্পদ অঢেল। যারা এক মুহুর্তে নির্মাণ ফেলতে পারে অসম্ভব কিছু।
আওয়ামী লীগ সরকারের এ বিপর্যয়ের মূল কারণ তাদের অ্যাটিটিউড। ধরাকে সরা জ্ঞান করা, তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করা, অন্যদের হেয় করা। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সৃজনশীল, রুচিশীল, বিদ্যাবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের সরিয়ে হোমড়া-চোমড়াদের খোয়াড় বানানো হয়েছিল। জনপরিসরে পথে-পরিবহনে নেতাকর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ চলাফেরা মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। নেতাকর্মীদের বাগাড়ম্বরতায় দেশে তৈরি হয়েছিল এক টক্সিস রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
মানুষ মূলত স্বস্তি খোঁজে। উন্নয়ন একটু কম হলেও সমস্যা নেই। নতুন রাস্তা নির্মাণের ফলে মানুষ স্বল্প সময়ে ও স্বল্পব্যয়ে যাতায়াত করতে পারছে তা তো কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু ওই মানুষকে যখন স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, আমি এ রাস্তা বানিয়েছি, আমি না হলে এ রাস্তা হতো না, তখন সে মানুষ অস্বস্তিতে পড়ে। একজন সংসদ সদস্য যখন গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের ছেলের কাছ থেকে হাই স্কুলের নৈশপ্রহরীর পদে চাকরি পাইয়ে দিতে আট লাখ টাকা ঘুষ নেন তখন তা তো কারো অজানা থাকে না। কারণ, গ্রাম মানেই তো কানাকানি।
আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ক্ষমতার গল্প ও নৈকট্যবোধে ক্লান্তি লাগত। ক্ষমতার নৈকট্য মানুষকে কতো নিষ্ঠুর করে তা দেখেছি। তিনি হলেন নেতা যিনি ক্ষমতা ছাড়ার পর স্বাধীনভাবে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন, জনগণের সঙ্গে মিশতে পারেন, চা খেতে পারেন।
যে ক্ষমতা জনগণের সঙ্গে বিযুক্তি ঘটায় তা চিনে নেওয়া জরুরি। রাজনীতিবিদদের সমস্যা হলো তারা যথাযথভাবে ক্ষমতার রসায়ন চিনতে পারে না। এ কারণে ক্ষমতায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিশেষ চেয়ার-টেবিল আর আলিশান অফিস লাগে। আওয়ামী লীগের এক ইউনিয়ন সভাপতির চেয়ারের আকার ও অবয়ব দেখে একবার ভিমরি খেয়েছিলাম। ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও কর্তৃপক্ষ এগুলোর মধ্যে ভারসাম্য জরুরি। রাজনৈতিক শ্রেণির মধ্যে রয়েছে তার সক্ষমতার ঘাটতি।
ইচ্ছাই আজ আইন। বছরের পর পর যেসব মামলা ঝুলে ছিল, সাজা হয়েছিল সেগুলো মুহুর্তেই ক্লিয়ার হচ্ছে। যা হয়নি চার বছরে তা হচ্ছে ২৪ ঘণ্টায়। এক গুণীজন বলেছিলেন আইন খুব সুবোধ ছেলে সবসময় সে তার বাবার হাত ধরে হাঁটাহাটি করে। এ মুহুর্তে বাংলাদেশ বিচারিক ও প্রশাসনিক পারফরমেন্স ক্ষেত্র অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর জনগণ দূর থেকে ভাবছে আমরা তো সব ভালোই চিনলাম?
ছাত্র-জনতা গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদাপূর্ণ দেশ গড়ার ঘ্রাণ পেয়েছিলাম। সময় যতো গড়াচ্ছে সে ঘ্রাণ মিলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাবোধ করছি। শতপ্রতিকূলতায় একটি নায্য সমাজ বিনির্মাণের আশা ধরে রাখতে চাই। কারণ, জার্মান কবি গ্যেটে বলেছেন-আশাবাদী মনোভাব হতাশার চেয়ে কল্যাণকর।