রোহিঙ্গা: জাতিসংঘে রেজুলেশন পাস ও রোহিঙ্গা সংকটের বর্তমান চিত্র

জি এম আরিফুজ্জামান
Published : 22 July 2021, 03:33 PM
Updated : 22 July 2021, 03:33 PM

সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৭-তম অধিবেশনে প্রথমবারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে "Situation of human rights of Rohingya Muslims and other  minorities in Myanmar" বিষয়ক রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে ২০২১ সালের ১২ জুলাই। বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় ইসলামিক সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) এর সব সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রেজুলেশনটি পেশ করা হয়। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের  ফোরামে রোহিঙ্গাবিষয়ক কোনো রেজুলেশন সবার সম্মতিতে গৃহীত হলো, যা বাংলাদেশের কূটনৈতিক ইতিহাসের একটি বড় মাইলফলক। এই রেজুলেশন গৃহীত হওয়ার ফলে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের জন্য বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে এই রেজুলেশন কতটুকু সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে সেটি নিয়ে এখন চলছে সর্বত্র আলোচনা। 

২০১৭ সালে ২৫ অগাস্ট রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের তাতমাদো (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এ নামে পরিচিত) সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হত্যা, নির্যাতন, ভূমি দখল, নারী ও শিশু নির্যাতনের মত নির্মম অত্যাচার চালাতে থাকে। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের তৎকালীন প্রধান এই মর্মান্তিক ঘটনাকে 'seems a textbook example of ethnic cleansing' হিসেবে অভিহিত করেন। তবে, সারা বিশ্বের যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার, জেনোসাইড বিষয়ে অভিজ্ঞজনরা এ ঘটনাকে 'জেনোসাইড' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের নিয়ে আলোচনা হলেও এ সংক্রান্ত কোন রেজুলেশন পাস হয়নি। এমনকি, সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্র বিশেষ করে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত , জাপানের মত রাষ্ট্রগুলো রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকারকে চাপ প্রয়োগের পরিবর্তে নীরব ভূমিকা পালন করেছে। বিগত চার বছর ধরে এই সমস্ত শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকরী কোন ভূমিকা পালন করেনি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় 'রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের' বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও, তারা 'প্রত্যাবর্তনের' পরিবর্তে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার বিষয়কে গুরুত্বারোপ করেছে।

২০১৭ সাল থেকে কয়েকদফা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবং ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পে বর্তমানে অবস্থান করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর ১৯ দফা সংবলিত একটা সমঝোতা দলিল স্বাক্ষরিত হয়। দলিলের ৩ নং অনুচ্ছেদে নাগরিকত্ব, ১৪নং অনুচ্ছেদে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় সংযুক্তি এবং ১৮নং অনুচ্ছেদে কফি আনান কমিশনের সুপারিশের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যে সমস্যার সমাধানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। চুক্তির আলোকে ২০১৯ সালের ২২ অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার প্রাথমিকভাবে সাত ভাগে বিভক্ত করে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরত নেওয়ার কথা বললেও, বাস্তবে তা আলোর মুখ দেখেনি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করলেও ২০২১ সালের বর্তমান সময় পর্যন্ত এই চুক্তির আলোকে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমার সরকার ফেরত নেয়নি। এখনও পর্যন্ত মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। মিয়ানমার সরকার ১৯৮২ সালের বার্মা নাগরিকত্ব আইনের গোলকধাঁধায় আটকে ফেলেছে রোহিঙ্গাদের  নাগরিক স্বীকৃতি। 

রোহিঙ্গাদের ওপর নিষ্ঠুর অত্যাচারের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং জড়িত সরকারী কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে ২০১৯ সালে গাম্বিয়ার পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে 'Application of the Convention on the Prevention and Punishment of  the  Crime  of  Genocide (The  Gambia  v. Myanmar)' একটি মামলা দায়ের করা হয়, যা বর্তমানে বিচারাধীন। এই বিচারের শুনানির সময়ে মিয়ানমার দলের প্রধান অং সান সুচি বরাবরই 'রোহিঙ্গা' শব্দটিকে এড়িয়ে গেছেন এবং সম্পূর্ণভাবে নির্যাতনের বিষয়কে অস্বীকার করেন। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি শুনানি শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে চারটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারী করা হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা আসেনি। অং সান সুচির সরকারের সময় রোহিঙ্গা সংকটের কোন কার্যকরী উদ্যোগে নেওয়া হয়নি। বরং নানা সময়ে সুচির সরকারের বিপরীতমুখী আচরণ এ সংকটকে আরও ঘণীভূত করেছে

২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যূথানের মাধ্যমে সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং ক্ষমতা দখল করেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সুচি, রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট এবং সুচির রাজনৈতিক দল এনএলডির অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করেন সামরিক জান্তা। অং সান সূচির গণতান্ত্রিক শাসনামলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে খুব বেশী অগ্রগতি হয়নি, আর সামরিক সরকারের সময় সেটা কতটা আশা করা যায়, সেটা এখন ভাবার বিষয়। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলাকে মোকাবিলা করার জন্য অং সান সুচির গঠিত আইনি দলকে বাদ দিয়ে নতুন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির সামরিক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মং লুইন। সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বরাবরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে আসছেন এবং তাদেরকে মায়ানমারের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে নারাজ। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। 

বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হলেও সেটি প্রস্তাব আকারে গৃহীত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে, ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট তৈরি হওয়ার পরে নড়ে চড়ে বসে জাতিসংঘ। গত ১৯ জুন ২০২১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা সামরিক জান্তাকে নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সেই সঙ্গে অং সান সুচি-সহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘ (বিবিসি বাংলা, ১৯ জুন ২০২১)প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১৯টি, বিপক্ষে একটি। ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ, রাশিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান, লাওস, থাইল্যান্ডসহ ৩৬ দেশ। বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার বিষয়ে ২০ জুন ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোন উল্লেখ না থাকায় বাংলাদেশে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, তা বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি" (বিবিসি বাংলা, ২০ জুন ২০২১) 

রাশিয়া, চীন, ভারত বরাবরের মতই মিয়ানমারের সমর্থনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে ভোটদান থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে এবং বিরত থাকার সুস্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এস দেশ। এই ধরনের পরোক্ষ সমর্থন রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়কে আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, আইনগতভাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক নয়। মিয়ানমারের সামরিক সরকার জাতিসংঘের এই ধরনের প্রস্তাবকে আমলে না নিয়ে এটাকে একপাক্ষিক অভিযোগ হিসেবে আলোকপাত করে তাদের কূটনৈতিক তৎপরতা চলমান রেখেছে।

গত পয়লা জুলাই মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং নিজের দ্বিতীয় বিদেশ সফরে হিসেবে নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে রাশিয়ায় পৌঁছান। এ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা আন্তর্জাতিক সব সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিয়ানমারের  সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল তিনি প্রথম সফর হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গিয়েছিলেনমিয়ানমারের জান্তাপ্রধান ছাড়াও সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা। এই দুইটি সম্মেলনে পারতপক্ষে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানকে তার ক্ষমতা দখলের জন্য নিন্দা জানিয়ে কোন চাপ প্রয়োগের মত বিষয় উত্থাপিত হয়নি। এই সম্মেলনগুলো থেকে মিয়ানমারের বর্তমান সরকারের সাথে দেশগুলোর বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার মত ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যতই দিন যাচ্ছে ততই মিয়ানমারের বর্তমান সরকার তাদের ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করে চলেছে।

মিয়ানমারের বর্তমান সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ২০২১ সালের ১২ জুলাই জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৭-তম অধিবেশনে গৃহীত ৩৪ দফা নির্দেশিত রোহিঙ্গা রেজুলেশনের বিষয়টি কতটুকু কার্যকরী হয়, সেটা এখন দেখার বিষয়। এই রেজুলেশনের মাধ্যমে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির আলোকে ১ দফায় (United Nations, A/HRC/47/L.11, পৃষ্টা. 4) , মিয়ানমারে বিশেষত রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, আটকে রেখে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তিসহ ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের ফলে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। পাশাপাশি করোনা মহামারী চলার সময়েও শিশুদের জবরদস্তি শ্রম, সামরিক উদ্দেশ্যে স্কুল ভবন ব্যবহার, বেসামরিক অঞ্চলে নির্বিচারে গোলাগুলি, ভবন, ঘরবাড়ি ও বেসামরিক সম্পত্তি ধ্বংস, আর্থ-সামাজিক শোষণ, জোর করে স্থানচ্যুতি, ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং ঘৃণা প্ররোচনা;  নারী ও শিশুদের উপর সহিংসতা, ধর্ম বা বিশ্বাসের মতপ্রকাশের অধিকার এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, বিশেষত রাখাইন, চিন, কাচিন, শান, কায়াহ এবং কায়িন রাজ্য এবং সাগাইং এবং মান্ডালের অঞ্চলগুলিতে অধিকার প্রয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যকার ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে গুরুত্বারোপ করে ২৫ নং দফায় (United Nations, A/HRC/47/L.11, পৃষ্টা.7 ), বাংলাদেশ ও মিয়ানমার স্বাক্ষরিত প্রত্যাবাসনের দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার সাথে মিল রেখে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের স্বেচ্ছাসেবক নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের  প্রতি আহ্বান জানানো হয়।  তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের মূল বিষয়াবলীকে যুক্তিসঙ্গতভাবে সমাধানের জন্য রাখাইনে রাজ্যের অবস্থার বিষয়ে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকে অংশীদারিত্ব করে সঠিক তথ্য প্রকাশের জন্য মিয়ানমারকে  আহ্বান জানানো হয়।  

গৃহীত রেজুলেশনটি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ, বিশ্বের সকল দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশ সফলতায় কূটনৈতিক তৎপরতায় পারষ্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে জাতিসংঘের ফোরামে রেজুলেশনটি পাস করিয়েছে। তবে, মায়ানমারের বর্তমান সরকারের হালচাল ও মনোভাব; চীন, রাশিয়া , ভারতের মত রাষ্ট্রের 'রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন' এর বিষয়ে নীরব ভূমিকা রোহিঙ্গা সমাধানের পথকে কতটুকু সুপ্রসন্ন করবে সেটাই দেখার বিষয়।