ধর্ষণের ভয়াবহ সংস্কৃতি

মো. সাখাওয়াত হোসেন
Published : 8 Oct 2020, 11:57 AM
Updated : 8 Oct 2020, 11:57 AM

সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে একটি আলোচিত এবং ভয়ংকর প্রত্যয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ধর্ষণের ভয়াবহতায় ভয়ের সংস্কৃতি জনমনে উদ্বেগ এবং আতংকের সৃষ্টি করেছে; কেউই ভয়ের বাইরে নয়। প্রত্যেক পরিবারই তাদের নারী সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং শঙ্কিত। বাসার বাইরে অবস্থানকালে প্রত্যেকেই ভয়ে তটস্থ থাকেন, তবে ইদানীংকালে গৃহেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে যেটি সভ্য রাষ্ট্রের জন্য চরম লজ্জাজনক ও অপমানের। ধর্ষকদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রও ভয়ংকর সংকট ও তদসংশ্লিষ্ট পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে হিমশিম অবস্থায় রয়েছে। ভয়ের সংস্কৃতি চতুর্দিকে আবদ্ধ করে সমগ্র বাংলাদেশকে একটি চরম অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে ধর্ষকচক্র ও তাদের দোসররা। এ থেকে উত্তরণে সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়েই ধর্ষকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৪০০ নারী এবং ৮১৫ শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণের মামলা ছিল ৭২৭টি এবং নারী ধর্ষণের মামলা ছিল ৩ হাজার ৯০০টি। বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী জানা যায়, ২০১৯ সালে ধর্ষণের কারণে ১২ শিশু এবং ২৬ জন নারী মারা যায়। ২০১৮ সালে ১৪ শিশু ও ২১ নারী মারা যায়। সুতরাং পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে ভয়ংকর অবস্থার দিকে ধাবমান হচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৯ সালে সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা দ্বিগুণ হয়েছে (ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১ হাজার ৪১৩ জন নারী ও শিশু)। ২০১৮ সালে সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭৩২টি। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিসংখানের মাধ্যমে জানা যায়, ২০১৯ সালে শিশু ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ৯০২টি এবং ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ৩৫৬টি। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রতি মাসে গড়ে গড়ে ৮৪টি শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, এক বছরে যৌন নির্যাতন বেড়েছে ৭০ শতাংশ। ২০১৯ সালে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ১ হাজার ৩৮৩ শিশু। কাজেই, বাংলাদেশে ধর্ষণের ভয়াবহতার পরিস্থিতি স্পষ্ট করার জন্য উল্লেখিত সংখ্যাগুলোই যথেষ্ট। এখানে স্পষ্টত উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে, ধর্ষণের সংখ্যা ও এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যাও কিন্তু ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় ধর্ষণ নিয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে, কেন ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত, কারা ধর্ষকদের মদদ দিচ্ছে, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আদৌ কি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয় গবেষণা থেকে উঠে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা অনেকাংশে সম্ভব হবে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ঘন্টায় প্রতি ৪ মিনিটে ভারতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের হাতে মার খান সে দেশের নারীরা। সেখানে শুধু ধর্ষণ নয়, ধর্ষণের পাশাপাশি পণ্যের জন্য অত্যাচার, নারী পাচারের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। এছাড়া পরিসংখান থেকে জানা যায়, প্রতি ২ থেকে ৩ দিনে নারীদের ওপর হয় এসিড আক্রমণ, প্রতি ১ ঘন্টা ১৩ মিনিটে পণ্যের জন্য অত্যাচারে মৃত্যু হয় নারীর। প্রতি ১৬ মিনিটে ধর্ষণের শিকার হয় নারীরা, প্রতি ৬ মিনিটে শ্লীলতাহানি হয় তাদের। এ কথা নিদ্বির্ধায় বলা যায়, ধর্ষণের ঘটনা প্রকৃতঅর্থে বৈশ্বিক প্রপঞ্চ, প্রত্যেক সমাজে অন্যান্য অপরাধের ন্যায় ধর্ষণের ঘটনাও দেদারছে ঘটে চলছে। পাঠকদের জন্য এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করার প্রয়োজন রয়েছে সেটি হচ্ছে পুলিশ নথিতে, পত্রিকার পাতায় কিংবা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখানের মাধ্যমে ধর্ষণের প্রকৃত চিত্র কিন্তু উঠে আসে না। এর বাইরেও অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলছে যেগুলো নানাবিধ কারণে জনসম্মুখে প্রকাশ পাচ্ছে না। অপরাধবিজ্ঞানের ভাষায় সেটিকে ডার্ক ফিগার অব ক্রাইম বলে। ডার্ক ফিগার অব ক্রাইমের কারণে অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের গ্রহণীয় ব্যবস্থা আলোর মুখ দেখছে না। জনগণকে সচেতন করে যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার মাধ্যমে প্রকৃত চিত্রের আলোকে সরকারের গ্রহণীয় ব্যবস্থা ধর্ষণসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধের লাগাম টেনে ধরতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

পত্রিকার পাতায় চোখ বুলালেই ধর্ষণের ঘটনা যে কাউকে আতংকিত করে তুলবে। সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শিরোনাম হলো, যশোরের শার্শায় ধর্ষণের দায়ে গৃহকর্তার ছেলে গ্রেফতার; লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে বিধবাকে দল বেঁধে ধর্ষণ, ৫ দিনের রিমান্ডে সোহেল-জামাল। সোনারগাঁয়ে চাচাতো ভাইয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার শিশু, প্রেমের নামে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ; বিয়ের ভয়ে পালিয়েছেন শিক্ষক। ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করলো সেই মাদরাসা সুপার। সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণ; এ সংক্রান্ত শিরোনামে বাস্তবতার প্রতিচিত্র উঠে আসে। আপনি, আমি সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না অমুক বয়সের পুরুষেরা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত; কেননা সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বৃদ্ধ, যুবক, ধর্মীয় শিক্ষক, ধর্মীয় গুরু, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণ করে হত্যা ইত্যাদি বিষয়গুলো বিগত কয়েকদিনে সাধারণ জনগণকে বেশ পীড়া দিচ্ছে। এর থেকে আশু মুক্তি ব্যতিরেকে সমাজ কাঠামোর ইতিবাচক পরিবর্তন আনা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

অপরাধবিজ্ঞানের একটি তত্ত্বে জানা যায়, তিনটি উপাদানের সমন্বয় হলেই যে কোন একটি অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। বর্তমানের ধর্ষণের সংস্কৃতি থেকে এ তিনটি ঘটনারই ফলাফল পাওয়া যায়। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো; অপরাধ সংঘটনে আগ্রহী ব্যক্তি, উপযুক্ত লক্ষ্য নির্ধারণ, অপরাধীকে প্রতিহত করার জন্য উপযুক্ত সুরক্ষা প্রদানের ব্যর্থতা; এ তিনটি উপাদানের উপস্থিতিই কার্যত যে কোন ধর্ষণ ঘটনার ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।

সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন শিশু-কিশোর পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, কিন্তু বর্তমানের যে সমাজ চিত্র-সমাজ নিরীক্ষার চিত্র দেখা যায় সেখানে দেখা যায়, শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই বিপথগামী হচ্ছে। অর্থাৎ সমাজ এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে যেখানে শিশুদের নেতিবাচক পথে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে যার প্রেক্ষিতে শিশু-কিশোররা নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। একজন অপরাধী অপরাধ করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে যখন তার মধ্যে অপরাধপ্রবণতা ক্রমান্বয়ে প্রোথিত হয় এবং সে অপরাধ সংঘটনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পায় অর্থাৎ পুরো সমাজটা একটা ভীতিকর অবস্থার মধ্য দিয়ে নিপতিত হয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতির সঞ্চার হয়। প্রকৃত অর্থে মনোজাগতিক, শারীরবৃত্তীয়, পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, পিয়ারগ্রুপ সর্বোপরি একটি সামাজিক কাঠামো উঠতি বয়সি যুবকদের অপরাধে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। বিশেষ করে স্কুলিং পদ্ধতি, যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবারের সৃষ্টি, সামাজিক বিধি-নিষেধের অবক্ষয়, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, সামাজিক স্তরায়ন, বিচ্ছিন্নতা ইত্যাদি কারণগুলো মূলত একটি মানুষকে অপরাধী হতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে থাকে।

আমরা জানি অপরাধ প্রতিকারের চেয়ে অপরাধ প্রতিরোধ উত্তম। যদি সামগ্রিক পরিবেশ এমন করে তৈরি করা হয় যেখানে নারীদের মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়, নারীদের ইজ্জত, মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় তাহলে নারীর বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের অপরাধের সহিংসতা ক্রমান্বয়ে শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। কিন্তু পরিবেশ এমন করে প্রস্তুত করা রয়েছে যেখানে ধর্ষকরা নানাভাবে ধর্ষণ করার সুযোগ পাচ্ছে এবং সমাজব্যবস্থায় প্রচলিত বিদ্যমান পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে অনেকেই পার পেয়ে যাচ্ছে। কাজেই, অপরাধী জেনে বুঝে, লাভ-ক্ষতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেই অপরাধ সংঘটনের দিকে পা বাড়ায়, সেক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটনের সুযোগ নষ্ট করে দিতে হবে। অপরাধীরা যেন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, লক্ষ্যচ্যুত হয় সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন করার পাশাপাশি সমন্বিত ব্যবস্থাও বহাল রাখতে হবে। অপরাধে উদ্বুদ্ধরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে তাদের কর্ম পরিকল্পনা পরিচালনা করার চেষ্টা করে থাকে যাতে করে খুব সহজেই টার্গেটকে ঘায়েল করতে পারে বিশেষ করে নিজের করায়ত্বে আনার প্রয়াসে দীর্ঘদিন ধরে সুনিপুন ছক কঁষে থাকে।

ধর্ষণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভিক্টিম নিজে নিজেকে সুরক্ষা প্রদানে নানাবিধ কারণে ব্যর্থ হয়ে থাকে। সুরক্ষার অপ্রতুলতা থাকায় অপরাধীরা সুযোগ বুঝে তাদের অপকর্ম সাধন করে থাকে। তাছাড়া নারীরা শারীরিকভাবে দুর্বল থাকায় ধর্ষকেরা সুযোগ নিয়ে থাকে, তবে বর্তমানে গণধর্ষণের সংখ্যাও কিন্তু ক্রমান্বয়ে বেড়েই যাচ্ছে। ধর্ষকরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট, তাদের কোন জাত-পাত নেই, তারা সমাজের কীট। সে ক্ষেত্রে ক্রাইম ম্যাপিং-এর সহায়তায় ভিক্টিম স্পট সুনির্ধারণ করে ভিক্টিমের সুরক্ষায় সামাজিকভাবে ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণই পারে ধর্ষকদের রুখে দিতে। প্রত্যেক পাড়া মহল্লায় অপরাধ প্রতিরোধের নিয়ামকগুলো বিশেষ করে লাইটিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করা ইত্যাদি বিষয়গুলো অপরাধ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আরেকটি বিষয় আলোচনায় রাখা যায় সেটি হচ্ছে ধর্ষকরা কিন্তু ভিন গ্রহের কেউই নয়। প্রত্যেক পরিবার হতে পারে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কেননা পরিবারের দায়িত্ব শিশুদের সামাজিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সকল অনাচার, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামী হিসেবে গড়ে তোলা।

পরিশেষে বলতে চাই, ধর্ষণকে একটি সামাজিক ব্যধি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে; ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্ষিতা নারীদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সুরক্ষা প্রদানে সকলকে একযোগে কাজ করার মানসিকতা বপন করতে হবে। ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করে খুব দ্রুততার সহিত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করে অন্যদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণু নীতি ধর্ষকদের প্রতিহত করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। অর্থাৎ ধর্ষকের বিচার হতেই হবে, এরা রাষ্ট্র ও জাতির জন্য কলঙ্কের অধ্যায় টেনে আনে। সমাজে সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের অপরাধের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে ধর্ষকরা। কাজেই, যে কোন মূল্যে রাষ্ট্র থেকে ধর্ষকদের নাম চিরতরে মুছে দিতে হবে।