ধর্ষণ ঠেকাতে পারে না রাষ্ট্র, কুকুরের পেছনে লেগেছে!

আহসান কবিরআহসান কবির
Published : 5 Oct 2020, 00:12 AM
Updated : 5 Oct 2020, 00:12 AM

ধর্ষণের প্রতিবাদে অনেক সময় মোমবাতি জ্বালিয়ে নীরবতার কর্মসূচি নেয়া হয়। এর কারণ কী? কারণ মানুষকে জানিয়ে দেয়া যে প্রতিবাদ করে কোন লাভ হবে না। নারীকে নিরবে পুড়তে হবে মোমের মতোই। সম্পূর্ণ একা!

                                                                         – ভারতীয় এক পত্রিকার সম্পাদকীয় মন্তব্য

ধর্ষিতা নারী, ধর্ষণের পরে আরও দুইবার অন্তত ধর্ষিত হয়। প্রথমবার ধর্ষণের খবরের শিরোনাম হয়ে এলে সামাজিকভাবে অনেকেই আঙুল তুলে দেখায় তাকে! অনেকটা সেই কথিত হিটগানের মতো- 'ও মাইয়া ও মাইয়া তুই অপরাধীরে…!' দ্বিতীয়বার বিচারের সম্মুখীন হলে সেই নারী আরেকবার 'বিচারিক ধর্ষণের' শিকার হয়, যে কারণে বেশিরভাগ নারী বিচার না চেয়ে আজীবন এই পাশবিকতার স্মৃতি  নিরবে বয়ে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।

ধর্ষণ একান্তই পুরুষকেন্দ্রিক বাস্তবতা। যে আইনে ধর্ষণের বিচার হয় সেটা ব্রিটিশরা করেছিল একশ ত্রিশ বছর আগে। পৃথিবীর অনেক কিছুই বদলেছে কিন্তু পুরুষের ধর্ষনেচ্ছা একবারেই বদলায়নি। একেবারে নতুন করা ডিজিটাল আইনে ধর্মকে কটাক্ষ না করা, রাজনীতি বা সরকার নিয়ে গুজব না ছড়ানো কিংবা সংবাদ প্রকাশের দায়িত্বশীলতাসহ অনেক ধারা সংযোজিত হয়েছে। ধর্ষণ সম্ভবত সৃষ্টির আদিকাল থেকে অ্যানালগ ছিল, এখনও আছে! 

যে কারণেই হয়তো নোয়াখালির বেগমগঞ্জের ঘটনা, সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনাগুলো বারবার ঘটে যাবে এবং যাচ্ছে!

বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ ধর্ষণ নিয়ে একদা লিখেছিলেন। লিখেছিলেন পুরাণে কিংবা অনেক ধর্ম উপকথায় দেবতাদের যে যৌন বাসনা লিপিবদ্ধ হয়েছে সেগুলোর সব ধর্ষণের বাইরে নয়। বীরত্বের একটা দিক সম্ভবত ধর্ষণও। যুদ্ধে জেতার পর তাই অসহায় বা বন্দি নারী ধর্ষিত হয়। যুদ্ধে জেতা বীর কিংবা তাদের অনুসারীরাই এসব করে। 

১৯৭১ সালে এদেশে ধর্ষণ বা সম্ভ্রবহানির পাশবিক স্মৃতি নিয়ে আজও বেঁচে আছেন অনেকে। কেউ কেউ এসব অসহায় নারীদের বলতেন 'গনিমতের মাল'! এই 'মাল'দের শৃংখলাবদ্ধ করে রাখতেই কতো আয়োজন, হোক সেটা রাষ্ট্র বা ধর্মের। রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ নারীদের নিয়ে তাই এক গানে লিখেছিলেন- সমাজের যাতাকলে আটকা পড়ে আছি/ ছিঁড়িতে না পারি দড়াদড়ি।

এইসব কথিত অনুশাসন না মানলেই নাকি ধর্ষণ বাড়ে বা অন্যকথায় পুরুষ উত্তেজিত হয়। পুরুষদের উত্তেজিত না করার জন্যই নাকি সব আয়োজন থাকতে হয়। রাজধানী ঢাকার বনানীতে একবার একটা উচ্চমানের (?) হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই তরুণী ধর্ষিত হয়েছিলেন। তারা সাহস করে অভিযোগ করেছিলেন ধর্ষকের বিরুদ্ধে যে কিনা সমাজের পরিচিত এক ধনীর দুলাল! অনেকেই তখন প্রশ্ন তুলেছিলেন- মেয়েরা রাতে কেন হোটেলে বা পার্টিতে যাবে? কেউ কেউ মেয়েরা 'ভালো ঘরের' কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন- মেয়ে দুটোই খারাপ। ওই ছেলের সাথে তাদের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল! 

এসব কথার মানে খুব সাধারণ ইঙ্গিত যা হাজার বছর ধরেই মেয়েদের জন্য প্রচলিত আছে। ঘরবন্দি থাকলেই নারীদের বিপদ কম হবে। মাঝরাতে বের হলে তো ধর্ষণ হবেই। আসলে নারীর মাঝরাতে ঘরের বাইরে বের হওয়া কিংবা 'আগে থেকে সম্পর্ক থাকা'র কোন সংযোগ বা সম্পর্ক নেই ধর্ষণের সাথে। এর প্রমাণ- সিলেট এমসি কলেজের ঘটনা, যা দিনেদুপুরে ঘটেছে- যেখানে গণধর্ষণের শিকার মেয়েটির স্বামীও ছিল! 

আর নোয়াখালির ঘটনা ধর্ষকরা বাড়িতে গিয়েই ঘটিয়েছে। কাজেই কোনও যুক্তিই তো কাজে আসছে না। অবশ্য নারীকে আটকে রাখার যুক্তি ধোপে না টিকলে কী হবে- অযুক্তিকে যুক্তি হিসেবে প্রচার চালানোর জন্য একদল মনোধর্ষক তো আছেই আমাদের সোশাল মিডিয়া ও বাস্তব জীবনে।   

ধর্ষণ একান্তই পুরুষের পাশবিক ইচ্ছের প্রতিফলন। যারা সত্যিকার অর্থে ধর্ষিতা হয়েছেন তাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার মানে হচ্ছে ধর্ষকের পক্ষে দাঁড়ানো। আইন কিংবা সমাজ চায় কোন না কোনভাবে পুরুষের পক্ষে দাঁড়াতে। কবিতায় যেমন আছে- পুরুষেরা চিরকাল চায় বিপণ্ণ নারী!

হয়তো একারণে কোন ধর্ষিতা যখন অভিযোগ করে তখন ধর্ষণের পরে আরেক 'ধর্ষণ বাস্তবতা'র সম্মুখীন হতে হয় মেডিকাল পরীক্ষার মুখোমুখি হবার মাধ্যমে।বেশিরভাগ নারী জানেন না স্নানের পরে ধর্ষণের আলামত মুছে যায় কিনা। বৃহস্পতিবার এমন পাশবিক ঘটনা ঘটলে শনি বা রোববার মেডিকেল পরীক্ষার সম্মুখীন হলে আলামত তরতাজা থাকে কিনা! 

অনেকটা বাপ্পী লাহিড়িরর সেই জনপ্রিয় গান- 'দাগ মুছে যায় ধীরে ধীরে দিন যত চলে যায়'(সোনার অক্ষরে লেখা ভুলে যাওয়া নাম) এর মতো। ধর্ষিতার গায়ে আলামত যত কম তত মামলা চলে যেতে থাকে ধর্ষকের পক্ষে। 

প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা করে থাকে পুরুষ। নারীর বিচার চাইতে গেলেও তাই পদে পদে বাধা। পুরুষরা যখন ধর্ষিতার মেডিকেল টেস্ট করে তখন প্রাপ্য মানবিকতার সাথে সাথে হয়তো পুরুষের লালসার দৃষ্টিটাও কাজ করতে পারে। যদি ধর্ষিতার বুকের মাপ বড় হয় তখনও অসুবিধে। বিশ্বাস হচ্ছে না?

আগেই বলা হয়েছিল যে মেডিকেল টেস্ট ও বিচারের নামে ধর্ষিতা আরও দু-বার অন্তত ধর্ষিত হয়। বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে, একারণে যে যখন মেডিকাল টেস্টে ধর্ষিতার 'বুক বড়'- এমন লেখা হয় তখন কোর্টে দাঁড়িয়ে ধর্ষকের আইনজীবী বলেন- দেখুন মাই লর্ড, যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে দেখুন। তার বুক বা পেছন দেখে কী মনে হয় না যে সে এসব কাজে আগে থেকেই অভিজ্ঞ? 

আলোচিত একটা ঘটনায় পরিমল নামের সেই শিক্ষক নামের কুলাঙ্গারটার কারাগারে যাবার ঘটনা অনেকেরই নিশ্চয়ই মনে আছে। ধর্ষণ ও তার ভিডিও ফাঁস করার মামলা দেবার পর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ধর্ষক পরিমিল এর আইনজীবী ধর্ষিতাকে দেখিয়ে এই প্রশ্ন তুলেছিল! 

ধর্ষকদের আইনজীবীরা ধর্ষককে বাঁচাতে ধর্ষিতাকে আরও অনেক নির্মম প্রশ্ন করেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে হয়তো ধর্ষকের আইনজীবীরা 'স্পট ডেমনস্ট্রেশন' দেন। সোনামুখী সুঁই বিচারকের সামনে তুলে ধরা হয়। এরপর সুতো ভরার সময় সুঁইটাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সুতো ভরা যায় না। তখন প্রশ্ন তোলা হয় ইচ্ছে না করলে কিংবা বাধা দিলে যেমন সুই-এ সূতো ভরা যায় না তেমনি সদিচ্ছা ছাড়া যৌনকর্ম করাও সম্ভব না। সুতরাং মাই লর্ড এটা ধর্ষণ না। ভালোবাসার সময়কার একটা সুন্দর স্মৃতিকে হীনউদ্দেশ্যে মামলার বাদী ধর্ষণ মামলা বলে চালিয়ে দিচ্ছে! আদালতের কাছে কি বড় টাকার উকিল আর কম টাকা ফিস নেয়া উকিলের মূল্য আলাদা? 

আইনজীবীদের কাছে হয়তো আসামীকে ছাড়িয়ে আনাই মুখ্য। একই আবেদন যখন নামী ও দামী উকিল করেন তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ যা হয় খুব সাধারণ কোন উকিলের আবেদনে কী আদালত একইভাবে সাড়া দেন? শত বছর ধরে ধর্ষিতার আত্মহত্যা করার মতো এই প্রশ্ন ঝুলছে। এমন অভিজ্ঞতা, যিনি ভোগান্তির সম্মুখীন হন তিনিই ভালো বলতে পারবেন!

যারা বলেন- ধর্ষণ যদি অনিবার্য হয় তবে সেটা উপভোগ করাই ভালো তাদেরকে যদি ধর্ষণের মুখোমুখি করা যেত! 'অবলা নারী হয়ে' মেনে নেয়াটাই কি আসল? দিল্লীতে বাসের ভেতর মেডিকাল ছাত্রী  ধর্ষণ মামলার আসামী মুকেশ সিংয়ের কথা হয়তো মনে আছে অনেকের। 

বিবিসির সাংবাদিক লেসলি উডউইন মুকেশের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যদণ্ড কেমন হয় এই ব্যাপারটা নিয়ে লেসলি উডউইনের প্রশ্নের উত্তরে মুকেশ বলেছিল- ধর্ষণের সময় মেয়েদের প্রতিবাদ বা লড়াই করাটা ঠিক না। তাতে ধর্ষক আরো বেশি মরিয়া হয়ে ওঠে! আর মৃত্যুদণ্ড হওয়াটা খারাপ। আমিতো (মুকেশ) ধর্ষণের পরে মেয়েটাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। রায়ে মৃত্যুদণ্ড হলে এরপর আর কেউ ধর্ষিতাকে ছেড়ে দেবে না, মেরে ফেলবে।

 ধর্ষণের পরে সামাজিকভাবে শুধু ধর্ষিতাকেই নিগ্রহের শিকার হতে হয়। মোমের মতো পুড়ে যাওয়াটাই হয়তো মেয়েদের নিয়তি। তাই মেয়েরা কেন রাত করে বাড়ি ফিরবে, রাতে হোটেলে যাবে কেন, কেন তাদের বুক বা পেছন বড় এসব প্রশ্ন উঠবে! প্রশ্ন উঠবে মেয়ের পোশাক নিয়ে। যখন নিয়মিত হিজাব পরা মেয়েদের একজন তনু ধর্ষিত হবে তখন ধর্ষকদের কাছে ধর্ম বা হিজাব বড় নয় এমন কথাও বলা যাবে না। বললে এদেশের নাম করা কোন অভিনেতার মতো সমালোচনা সইতে হবে! যখন কোন মেয়ে বাবা মা ভাইবোনকে বাঁচাতে গার্মেন্টে কাজ নেয়, রাতে বাসায় ফেরার পথে ধর্ষিতা হয় সেও। মেয়েদের জন্য পৃথিবীটা হয়তো আদিকাল থেকেই এমন!

যারা প্রতিবাদ করতে চান তাদের কিছু মানসিকতা হয়তো প্রকাশ পায় ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হওয়া ছবিগুলোতে। 'জেসিস গার্ল' নামের ওয়েস্টার্ন ছবিটা  যারা দেখেছেন তারা জানেন ধর্ষণের প্রতিশোধ জেসি ও তার বান্ধবীরা কীভাবে নিয়েছিল। হানিমুনে এসে জেসি ধর্ষিত হয়েছিল গুন্ডাদের হাতে। তার স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছিল। 'জেসিস গার্ল' এর মতো ধর্ষণ ও প্রতিশোধের কাহিনী নিয়ে  'আই স্পিট অন ইউর গ্রেভ' ছবিটা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৮ সনে। নিরিবিলি উপন্যাস লেখার জন্য একটা রুম ভাড়া নিয়েছিলেন এক লেখিকা। এখানেই গণধর্ষনের শিকার হন সেই লেখিকা। তিনি মারা যান। কিন্তু ফিরে আসে তার আত্মা। সে ধর্ষকদের মেরে প্রতিশোধ নেয়। প্রায় একই ধরনের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছিল লাস্ট হাউজ অন দ্য লেফ্ট, ডেখ উইশ টু কিংবা দ্য ক্রো ছবিটি। দ্য ক্রো ছবিতে একজন মিউজিশিয়ান ও তার স্ত্রী বিয়ের আগের রাতে এলাকার মাস্তানদের হাতে নিগৃহীত হন। মিউজিশিয়ানের স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে দুজনকেই মেরে ফেলা হয়। বছর খানেক পরে মিউজিশিয়ানের কবর থেকে উঠে আসে এক কাক। সে ধর্ষকদের মেরে প্রতিশোধ নেয়।

তবে সবচেয়ে বেশি প্রতিশোধ পরায়নতা দেখা গেছে এক হিন্দি ছবিতে। এই ছবিতে নায়িকা ধর্ষণের শিকার হবার পর যারা যারা ধর্ষণ করেছিল নায়িকা তাদের লিঙ্গ কর্তন করে দেয়! পাশবিকতা কখনোসখনো হয়তো পাশবিকতারই জন্ম দেয়। হয়তো একারণেই কেউ কেউ বলে থাকেন- খুনের বদলা খুন!

আদিম হিংস্র পাশবিকতাগুলোর মধ্যে খুন আর ধর্ষণ আজও টিকে আছে পুরোনো সেই আদিমতা নিয়েই। রাষ্ট্র তাই কুকুর নিধনে যতোটা সক্রিয় হয়, ধর্ষক নিধনে তাকে তেমন সক্রিয় মনে হয় না। ধর্ষকদের কেউ কেউ ধর্ষিতাকে বিয়ে করে, কেউ কেউ আইনের ফাঁক গলে জেল থেকে বেরিয়ে আসে। 'আপনা মাংসে হরিণা বৈরী'র মতো নারীদের নিয়তি যেন মোমের মতো পুড়ে যাওয়ার! তাদের জীবন যেন 'ভেতরে বিষের বালি, মুখ বুজে মুক্তো ফলাও '- এর মতো! আর তাই একটা কবিতা নিবেদন করে লেখাটা শেষ করি!

হায়

মাথার ভেতরে শুধু ডানা ঝাপটায় 

রুচিহীন কালো কাক 

তুনাবীর কাছে শকুন হয়ে আসে 

রাজনীতি আর আইনের ফাঁক!

কেউ কেউ বলে- যদি অনিবার্য হয়, তবে ভেবে নাও

ধর্ষণ চিত্তাকর্ষক!

তুনাবী কখনো সখনো আমিও প্রেমিক ন‌ই…

মন ও মগজে ধর্ষক!

দুশ্চিন্তায় রাষ্ট্র কী চোখ বোজে?

লালসাও যোগ্যতা খোঁজে!

ক্ষমতার কাছে যারা থাকে

তুনাবী,তারাই কি শুধু যোগ্য? 

মেয়ে তুমি কি চিরকাল উপভোগ্য?

তরবারি ছিল, তরবারি আছে 

কখন যে থাকে কার কোমরের কাছে! 

স্বয়ম্বর কাল থেকে আজও 

তুনাবি,পলায়নপর হরিণীর মতো 

ভাঙ্গনের সুরে বাজো!

পশুদের কাছে শরীর ভিক্ষে চেয়েছিলে ?

মনে রেখো তোমার ধর্ম তুমি নারী!

হৃদয় খুঁড়ে আর দেখতে যেও না স্মৃতি বিশ্বাসের বাড়ি!

ধর্ষক মাঝে মাঝে বিয়ে করে পার পায়!

তনুর মতো তুনাবীরা শুধু মরে!

ধর্ষক নিধন করে না রাষ্ট্র, কুকুর নিধন করে!