Published : 18 Jul 2016, 02:11 PM
পিইসি বা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করবে-করবে করেও সরকার কেন বাতিল করতে পারছে না এর কারণ বোঝা সম্ভব যদি এই পরীক্ষা কেন-কীভাবে শুরু হয়েছিল তা বোঝা যায়। এর জন্য বেশ একটু পেছন থেকে আসার প্রয়োজন পড়বে।
বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করার পর শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে আরেকটি বড় ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৯৯০ সালে। এটা ছিল বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ। এই অধ্যাদেশে বলা হয়:
To fulfill the constitutional obligation of Universal Primary Education, the Government promulgated the Primary Education (Compulsory) act 1990.
কিন্তু এই অধ্যাদেশ জারির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়েনি। এই সংখ্যা ১৯৯০ সালে ছিল ৩৭৬৫৫, আর ২০১০ সালে হয়েছে মাত্র ৩৭৬৭২। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সালে এটা ছিল ৩৬১৬৫। তবে নিবন্ধিত বেসরকারি স্কুল বেড়ে গেছে ধারাবাহিকভাবে। ১৯৯০ সালে এর সংখ্যা ছিল ৯৫৮৬টি এবং ২০১০ সালে এটা হয় ২০০৬১টি।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সালে এ ধরনের স্কুল ছিল মাত্র ৪৬৮টি। এরপর শিক্ষকদের বহু দাবি ও আন্দোলন-সংগ্রামের পর ২০১২ সালে ২২৬৩২টি নিবন্ধিত স্কুলকে সরকারিকরণ করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করায় ভর্তি-উপযোগী শিশুর বিশাল সংখ্যা সরকারের জন্য একটা বাড়তি চাপ ও দায় হয়ে আসে। কারণ ১৯৯০ সালে মোট শিশুর মধ্যে স্কুলে যেত মাত্র ৬০.৫ শতাংশ। তাহলে আরও প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু (প্রায় ৭৮৬৮১২০ জন) স্কুলে যেত না। তদুপরি তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ছিল ১:৬৩। এই অনুপাতেও যদি বাকি শিশুদের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করতে হলে নতুন স্কুল লাগত প্রায় ৩০৮৪৩টি এবং শিক্ষক লাগত প্রায় ১৩০৪৬৬ জন।
কিন্তু সরকার তা না করে নিবন্ধিত স্কুল আরও বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এনজিও স্কুল, কিণ্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসার ধারাবাহিক বিস্তৃতির সুযোগ করে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় বিত্তহীন ও নিম্নবিত্তের অভিভাবকেরা এনজিও স্কুলে এবং মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা কিণ্ডারগার্টেনের দিকে ঝুঁকে পড়তে থাকে। আর সরকারের এই গা এড়িয়ে যাওয়া কৌশলের মধ্য দিয়েই প্রধানত নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীন পরিবারের আরেক দল শিক্ষার্থী মাদ্রাসা, বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে।
এ সময়ে মাধ্যমিক স্তরে গৃহীত কৌশলের অনিবার্য অভিঘাত প্রাথমিক স্তরের উপর পড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে মাধ্যমিক স্তরেও সরকারি স্কুল খুব একটা বাড়েনি (স্বাধীনতার পর ছিল ১৪৮ এবং ২০০৮ সালে হয়েছে ৩১৭)। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে বেসরকারি স্কুল ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। স্বাধীনতার পর এ ধরনে স্কুলের সংখ্যা ছিল ৫৬৪৬, ১৯৯০ সালে হয়েছে ১০১৫৩, কিন্তু ২০০০ সালেই এটি হয়ে গেছে ১৫৪০৩।
অপরিকল্পিত এই সংখ্যাবৃদ্ধিতে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী সংকট দেখা দেয় নব্বই দশকের আগে থেকেই। স্বাধীনতার পর মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ছিল ১:২৫.৯৮। দু দশক পর ১৯৯০ সালে এটা কমে হচ্ছে ১:২৪.৩। অন্যদিকেম স্বাধীনতার পর প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ছিল ১:৪৪.৭৭, সে-অনুপাত ১৯৯০ সালে হয়েছে ১:৬৩।
সুতরাং প্রাথমিক আর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত চরম বিপরীতমুখী পরিস্থিতি নির্দেশ করছে। এটাই ছিল আশির দশকের শেষ দিকে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর আন্দোলনের প্রেক্ষাপট।
তাই বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার দায় এড়ানোর মতো করেই মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী বাড়ানোর একটা তাগিদ সরকার অনুভব করে। এ কারণেই নব্বই দশকের শুরুতেই মাত্র ৫০০টি এমসিকিউএর একটি প্রশ্ন ব্যাংক করে গণিত ছাড়া সকল বিষয়ে ৫০ নম্বর পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ফলে ১৯৯০ সালেও যেখানে এসএসসিতে পাশের হার ছিল ৩১.৭৩ শতাংশ, সেখানে ১৯৯৪ সালে হয়েছে ৭১.৪৬ শতাংশ। পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রী-উপবৃত্তিও এ সময় চালু হয়। ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এমনভাবে বাড়তে থাকে যে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১৯৯০ সালের ১:২৪.৩ থেকে বেড়ে ২০০০ সালে গিয়ে দাঁড়ায় ১:৪৩.৯১এ।
এতে ছাত্র-বেতন আদায় ও শিক্ষকদের প্রাইভেট-টিউশন-কোচিং থেকে আয় বৃদ্ধি পায়, যার মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থাও ধারাবাহিকভাবে সাজিয়ে তোলা হয়।
এরপর ২০০০-২০০৫ সালের মধ্যে আরও প্রায় ৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়ায় এবং নকল নিয়ন্ত্রণ করায় পাশের হার যেমন কমে আসে (২০০৩ সালে ৩৫.৯১ শতাংশ), তেমনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও কমে আসে (২০০৫ সালে ১:৩১.০৬)। এর ফলে স্কুল পরিচালনার জন্য যথেষ্ট শিক্ষার্থীর সংকট অনেক স্কুলে আবারও শুরু হয়।
এই সংকট কাটানোর চাপ পড়ে প্রাথমিক স্তরের উপর। এ সময় ছাত্রী-উপবৃত্তির জন্য প্রাথমিকে অনুত্তীর্ণরাও হাই স্কুলে ভর্তি হতে শুরু করে এবং এটা মেনে নেওয়া হয় নারীশিক্ষার কথা বলে। একই সঙ্গে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের হার ২০ শতাংশ (২০০২ সালে) থেকে ক্রমে বাড়িয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ করা হয় (২০০৮ সালে)।
কিন্তু ২০০২ সালে দেখা যাচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর পেয়েছে মাত্র ৪৪.১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। ততদিনে এমডিজি অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে সকল শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের অঙ্গীকার এসে গেছে। ফলে বৃত্তি পরীক্ষার এই পাশের হার এমডিজি লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে একটা সংকট হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকবে। এরপর থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় পাশের হারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটানো হয় (২০০৮ সালে পাশ ৭৪.০৩ শতাংশ)।
২০১৫ সালে দেখা যায় যে, ২০০৮ সাল থেকে যত শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে তার মাত্র ৫০ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণি শেষ করছে। এই পরিস্থিতি বুঝে সকল শিশুকে অভিন্ন মূল্যায়ন ব্যবস্থায় আনার কথা বলে পিইসিই বা সাধারণের মুখে উচ্চারিত এই পিএসসি পরীক্ষার চালু করে অসাধ্য সাধনের অসাধু উপায় খোঁজা হয়। এভাবেই ২০০৯ সালে সকল শিক্ষার্থী পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং পাশের হার প্রায় ৯০ শতাংশে পৌঁছে যায়।
এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির মধ্যে কৌশলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং এই পরীক্ষার মাহাত্ম্য প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে যথাসময়ে এমডিজি অর্জনের বৃহৎ ঘোষণার প্রস্তুতি চলতে থাকে। সরকার ও তার আমলাদের কাছে এটা খুব কার্যকর একটা কৌশল হিসেবে প্রতীয়মান হয়। কারণ এর ফলে একদিকে যেমন প্রথম শ্রেণিতে যারা ভর্তি হচ্ছে তাদের প্রায় সবারই পঞ্চম শ্রেণি পাশের নিশ্চয়তা সৃষ্টির মাধ্যমে ঝরে পড়ার হার রোধ সম্ভব, তেমনি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীর যোগানও ব্যাপকভাবে বাড়ানো যাচ্ছে।
সরকারের এসব সাফল্য নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর লিখে ফেলছে:
Bangladesh has made remarkable progress in primary education, with 98.6% enrollment rate and 73.8% children completing primary education.
সরকারের দিক থেকেও বিশ্বসভায় অঙ্গীকারকৃত সময়ের আগেই এমডিজি-২ অর্জনের ঘোষণার প্রস্তুতি শোনা যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর এই কথায়:
"সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Millenium Development Goals) এবং সবার জন্য শিক্ষার (EFA) লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার ঘোষণা থাকলেও বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের মধ্যেই এ লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।. . . "
এত প্রস্তুতি, এত আয়োজন করেও সরকার তা ঘোষণা করতে পারেনি। কারণ অব্যাহত প্রশ্নফাঁস, উত্তর বলে দেওয়া, মূল্যায়নে কারচুপি করেও সকল শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করানো যায়নি। তদুপরি ঝামেলা বেঁধেছে শিক্ষানীতি অনুমোদন করে, যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন সকল শিশুকে অষ্টম শ্রেণি সমাপন না করিয়ে এমডিজি-২ অর্জন হয়েছে এটা বলা যাচ্ছে না।
সংকটের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হচ্ছে, পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির মধ্যেই প্রায় এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। যেমন, গত বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছিল ৩২,৫৪,৫১৪ শিক্ষার্থী, কিন্তু জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে ২৩২৫৯৩৩ জন।
এই ঝরে পড়া এক তৃতীয়াংশকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ধরে রাখা শিক্ষানীতি, কারিকুলাম বা শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয় নয়– এটা মূলত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিষয়। সুতরাং সরকারের জন্য সুবিধা হল পঞ্চম শ্রেণিতে পিএসসি বহাল রেখে প্রাথমিক শিক্ষা পাঁচ বছর মেয়াদী রেখে এমডিজি-২ অর্জন হয়েছে এটা ঘোষণা করার পরই এটা বাতিল করা এবং পিএসসি পরীক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে নিয়ে যাওয়া।
আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। শিক্ষা হচ্ছে নানা সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। যত বেশি স্কুল-কলেজ তত বেশি বাণিজ্য– যত বেশি কাঠামোগত পরিবর্তন বাণিজ্য বাড়ে তত– কারিকুলাম, পরীক্ষা-পদ্ধতি, বইপুস্তকের পরিবর্তন বাড়লেও বাণিজ্য– বেশি পরীক্ষা, বেশি বেশি শিক্ষার্থীর পাশ তো বাণিজ্য বিশাল।
খুব সহজ একটা হিসাব। ২০১৫ সালে প্রায় ৩০-৩৫ লক্ষ শিশু প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষা দিয়েছে। এদের অধিকাংশই একাধিক গাইড বই কিনেছে। গড়ে যদি ১টা গাইডও সবাই কিনে থাকে আর তার দাম যদি গড়ে ৫০০ টাকা হয় তবে শুধু এই খাত থেকেই বাণিজ্য সৃষ্টি হচ্ছে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা।
আবার প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থী স্কুলে অথবা স্কুলের বাইরে কোচিং করেছে, করতে বাধ্য হয়েছে। মাসে ৫০০ টাকা করে হলেও ১০ মাসে প্রতিটি শিক্ষার্থী ৫০০০ টাকা খরচ করেছে। তাহলে কোচিং খাতে বাণিজ্য হয়েছে প্রায় ১৭৫০ কোটি টাকা।
এগুলো কোনো নিশ্চিত অঙ্ক না হলেও এমন বহু বহু বাণিজ্য খাত তৈরি হচ্ছে শিক্ষার এ ধরনের উন্নয়নের (!) ফলে। কিন্তু মনে রাখা দরকার যে, এই টাকার অংশ শুধু প্রকাশক, কোচিংয়ের মালিক বা স্কুলের শিক্ষক বা ম্যানেজং কমিটিই পাচ্ছেন না– তাদের সুতো বেয়ে বিস্ময়করভাবে ঊর্ধ্বগামী ফিলট্রেশন ঘটছে বহু উপর পর্যন্ত। তাই শিক্ষার সকল স্তরে এ ধরনের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সৃষ্টির সঙ্গে বেশি বেশি পরীক্ষা থাকার সম্পর্ক সরাসরি।
সুতরাং সরকার শেষাবধি তার বৃত্তে নিজেই বন্দী। আর শিশুরা গিনিপিগ। আমরা অভিভাবক-শিক্ষকেরা কলুর বদল।
তথ্যসূত্র:
http://www.cpeimu.gov.bd/, 2014
http://www.banbeis.gov.bd/trend_analysis1.htm, p.1
Report on Primary School Census 2010, Directorate of Primary Education, Government of the People's Republic of Bangladesh, p. 24
Primary Education in Bangladesh, Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics (Banbeis), Banbais Publication: 56, January- 1987, p. 20
http://www.banbeis.gov.bd/trend_analysis1.htm, p.1
Report on Primary School Census 2010, Directorate of Primary Education, Government of the People's Republic of Bangladesh, p. 24
Primary Education in Bangladesh, Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics (Banbeis), Banbais Publication: 56, January- 1987, p. 20
Bangladesh Primary Education, Annual Sector Performance Report-2014, Directorate of Primary Education, May 2014, p. 5
http://www.bd.undp.org/content/bangladesh/en/home/mdgoverview/overview/mdg2/
http://www.banbeis.gov.bd/trend_analysis1.htm, p.1
Ibid, p.1
Ibid, p.2-3
http://www.banbeis.gov.bd/trend_analysis1.htm, p.2-3
Ibid, p.2
Ibid, p.2
Ibid, p.1
http://www.banbeis.gov.bd/trend_analysis1.htm, p.1
http://www.banbeis.gov.bd/webnew/index.php?
option=com_content&view=article&id=470:results-of-secondary-school-certificate-ssc-public-examination-by-stream-1990-2010&catid=79:output-statistics-2010&Itemid=187
http://www.banbeis.gov.bd/trend_analysis1.htm, p.2
Ibid, p.2-3
http://www.banbeis.gov.bd/webnew/index.php?
option=com_content&view=article&id=470:results-of-secondary-school-certificate-ssc-public-examination-by-stream-1990-2010&catid=79:output-statistics-2010&Itemid=187
http://www.banbeis.gov.bd/trend_analysis1.htm, p.2-3
Report on Primary School Census 2010, Directorate of Primary Education, Government of the People's Republic of Bangladesh, p. 66
Ibid, p.66
Ibid, p.66
http://www.unicef.org/bangladesh/Quality_Primary_Education%281%29.pdf
Ibid, p.66
http://www.worldbank.org/en/news/feature/2013/12/10/educating-tomorrows-leaders-in-bangladesh
প্রাথমিক শিক্ষায় পাঁচ বছরের অর্জন (২০০৯-২০১৩), মন্ত্রীর বাণী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ২০১৪
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/690745, November 22, 2015
http://www.prothom-alo.com/education/article/671062/ , November 1, 2015