দিল্লিতে মোটরবাইক ট্যাক্সিতে নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে উবার, ওলা, রেপিডো

দেশটির মোটরযান আইন অনুযায়ী, ব্যক্তিগত যানবাহন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হতে পারবে না।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2023, 11:23 AM
Updated : 21 Feb 2023, 11:23 AM

ভারতের রাজধানী দিল্লির সড়কগুলোতে মোটরবাইক ট্যাক্সি নিষিদ্ধ হওয়ায় উবার, ওলা ও রেপিডোর মতো কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়েছে।

সম্প্রতি দিল্লি সরকারের দেওয়া এক নোটিসে বলা হয়েছে, দুই চাকার ব্যক্তিগত গাড়িতে ভাড়ায় যাত্রী টানা ভারতের আইনের লংঘন।

যে ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এই ধরনের কার্যক্রম চালাবে তাদেরকে সর্বোচ্চ এক লাখ রুপি পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে, বলা হয়েছে নোটিসটিতে।

এই ব্যাপারে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দিল্লির রাস্তায় মাঝেমাঝেই যানবাহনের চাপে তীব্র ট্রাফিক জ্যাম দেখা যায়; এই কারণেই হাজারও ভারতীয় সাশ্রয়ী মূল্যে মোটরবাইক ট্যাক্সিতে সওয়ার হন, যা সেই জ্যাম কাটিয়ে তুলনামূলক দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখে।

এই রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছে, যাদের বেশিরভাগই নিজেদের ব্যক্তিগত মোটরবাইকে করে যাত্রী পরিবহন করছেন।

কিন্তু দেশটির মোটরযান আইন অনুযায়ী, ব্যক্তিগত যানবাহন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হতে পারবে না।

দিল্লিতে মোটরবাইক ট্যাক্সির ওপর এই নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কজন চালকের সঙ্গে কথা বলেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তারা বলেছেন, বাইকে যাত্রী টেনে যে অতিরিক্ত আয় হয়, তা ছাড়া প্রাত্যহিক খরচ মেটানো তাদের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।

দেশটিতে এবারই প্রথম মোটরবাইক ট্যাক্সি আইনি জটিলতায় পড়েছে, এমনও নয়।

জানুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের রাজ্য সরকার বাইক ট্যাক্সির নিবন্ধন, তাদের নিরাপত্তা ও ভাড়ার কাঠামো নিয়ে কোনো আইনি নির্দেশনা নেই জানিয়ে রেপিডোর মোটরবাইক ট্যাক্সিকে লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

বোম্বে হাই কোর্টও বৈধ লাইসেন্স না থাকায় কোম্পানিটিকে তাদের কার্যক্রম গুটাতে নির্দেশ দিয়েছিল।

রেপিডো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সর্বোচ্চ আদালতও তাদেরকে হাই কোর্টের কাছেই ফেরত পাঠায়।

বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির কর্মীরাও এই ধরনের ট্যাক্সির বিরোধিতা করছেন। ডিসেম্বরে এই কর্মীদের একটি ইউনিয়ন তেলেঙ্গানা রাজ্যের কাছে লেখা চিঠিতে ব্যক্তিগত গাড়িকে বাইক ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল।

অ্যালাইড মার্কেট রিসার্চের গত বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে মোটরবাইক ট্যাক্সির বাজার দাঁড়িয়েছিল ৫ কোটি ডলারের সামান্য বেশি, এটি ২০৩০ সাল নাগাদ দেড় হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলেও অনুমান করেছিল তারা।

“তবে বাইক ট্যাক্সি সম্পর্কিত আইনি সমস্যা এবং স্থানীয় সরকারি পরিবহন চালনাকারীদের প্রতিরোধ এর বাজার বিকাশে বাধা হয়ে আছে,” বলা হয়েছিল প্রতিবেদনটিতে।