‘ডাবল সানস্ক্রিন’ ব্যবহার তাপদাহ থেকে ত্বককে বাড়তি সুরক্ষা দিতে পারে।
সকালে ত্বকের যত্ন মানে হল ক্লেঞ্জিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং তাপর এক স্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার। তবে কড়া রোদ ও তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা।
‘ডাবল সানস্ক্রিন’ শব্দটির সাথে অনেকেরই পরিচয় নেই। এর মানে হল এক স্তর সানস্ক্রিনের ওপরে আরেকস্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার, যা ত্বককে রোদ থেকে সুরক্ষিত রাখে।
এই বিষয়ে নয়া দিল্লির ‘ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল’য়ের ত্বকবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডা. কাশিশ কালরা ‘হেল্থ শটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ডাবল ক্লেঞ্জিং’ শব্দটার সাথে পরিচয় আছে নিশ্চয়। ত্বকে থেকে বাড়তি ময়লা, জীবাণু বা মেইকআপ দূর করতে ডাবল ক্লেঞ্জিং ব্যবহৃত হয়।”
‘ডাবল সানস্ক্রিন’ এমনই একটা নতুন ধারণা যা রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে উপকারী ভূমিকা রাখে।
সম্প্রতি ভারতের ত্বক-বিশেষজ্ঞ ডা. রাশ্মি শেট্টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ডাবল সানস্ক্রিন’ ব্যবহার করার কারণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানান।
তিনি বলেন, “নামের মতই ’ডাবল সানস্ক্রিন’ মানে হল একই সময়ে দুটা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। প্রথমে ত্বক পরিচর্যাকারী উপাদান আছে যেমন- ভিটামিন সি, হায়ালুরনিক অ্যাসিড ইত্যাদি সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং এর ওপরে পাউডার সানস্ক্রিন যা সাধারণত কমপ্যাক্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সমৃদ্ধ ‘সান কেয়ার’ প্রসাধনী ব্যবহার করে সানস্ক্রিনকে আবদ্ধ করে নেওয়া।”
সানস্ক্রিন ব্যবহারের নিয়ম
কড়া রোদ ও তীব্র তাপদাহে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে দুবার করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উপকারী।
সবাই যদিও রোদ থেকে বাঁচতে এসপিএফ, ইউভিএ এবং ইউভিবি সানব্লক ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন। তবে তা দৈনিক কী পরিমাণে ব্যবহার করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই।
ডা. কালরা বলেন, “পুথিগতভাবে বলা যায়, প্রতি সেন্টিমিটার ত্বকের জন্য দুই মি.লি. গ্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার আদর্শ। মানে হল সম্পূর্ণ মুখ ও গলার জন্য আধা চা-চামচ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন।”
“এছাড়াও, বলা হয়ে থাকে ‘টু ফিঙ্গার ফর্মূলা’ যেখানে পুরো দুই আঙ্গুল ভর্তি সানস্ক্রিন নিয়ে সম্পূর্ণ মুখ ও গলার ব্যবহার করতে হয়।”
দ্বিতিয়বার সানস্ক্রিন ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জানান ডা. কালরা।
কোনো স্থান বাদ না পড়া
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মুখের কোনো অংশেই দ্বিতীয়বার সানস্ক্রিন ব্যবহার বাদ দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়বার সানস্ক্রিন ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকে সানস্ক্রিন ‘লক’ করে রাখা যায়। আর এটা বাইরের রোদ থেকে বাড়তি সুরক্ষা দান করে।
দুবার সানস্ক্রিন ব্যবহারের মেইকআপের মতো ভাব দেয়
দুই ধরনের সানস্ক্রিন রয়েছে- ‘কেমিকেল সানস্ক্রিন’ এবং ‘ফিজিক্যাল সানস্কিন’। বেশিরভাগ সানস্ক্রিনে ‘কেমিকেল ও ফিজিক্যাল ফটো প্রটেক্টর’ থাকে।
প্রথমে কেমিকেল সানস্ক্রিন ব্যবহার করে এর উপরে ফিজিকাল সানস্ক্রিন বা পাউডার সানস্ক্রিন বা বিবিক্রিম ভিত্তিক সানস্ক্রিন ব্যবহারে ‘মেইকআপ লুক’ পাওয়া যায়।
সানস্ক্রিন ত্বকে ৮০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়
যে কোনো সানস্ক্রিন এমনকি ‘পানি নিরোধক’ সানস্ক্রিনও ত্বকে কেবল ৮০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ৮০ মিনিট পরে পুনরায় সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।
পরপর দুবার সানস্কিন ব্যবহার এর স্থায়িত্ব কিছুটা বাড়ায়।
আরও পড়ুন