'স্তন ক্যান্সার সনাক্তের সাথে মৃত্যুহারের সম্পর্ক নেই'

উন্নত দেশগুলোতে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুহার কমছে। তবে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুহার কমার ক্ষেত্রে এ রোগ সনাক্তের চেয়ে বরং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও উন্নত চিকিৎসাই বেশি প্রভাব রাখছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে।

>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2011, 03:09 AM
Updated : 12 March 2021, 01:18 PM

লন্ডন, জুলাই ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- উন্নত দেশগুলোতে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুহার কমছে। তবে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুহার কমার ক্ষেত্রে এ রোগ সনাক্তের চেয়ে বরং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও উন্নত চিকিৎসাই বেশি প্রভাব রাখছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও নরওয়ের গবেষকদের পরিচালিত ওই গবেষণার ফলাফল শুক্রবার ব্রিটিশ চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ফ্রান্সের লিওনের ইন্টারন্যাশনাল প্রিভেনশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ফিলিপ ওতিয়ের নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

গবেষণায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যের সঙ্গে পশ্চিম ইউরোপের উত্তর আয়ারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম এবং সুইডেন ও নরওয়ে- তিন জোড়া দেশে এ রোগে মৃত্যুহার তুলনা করা হয়। ডব্লিউএইচও'র তথ্যে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।

প্রতি জোড়া দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা একইরকম ও স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকির হার প্রায় সমান। পার্থক্য শুধু হলো, প্রতি জোড়ার দ্বিতীয় দেশে স্তন ক্যান্সার সনাক্তকরার ম্যামোগ্রাফি পরীক্ষা চালু হয়েছে প্রথম দেশের চেয়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর পর।

গবেষকরা আশা করেছিলেন, যেসব দেশে স্তন ক্যান্সার সনাক্ত কার্যক্রম আগে শুরু হয়েছিলো সেসব দেশে এ রোগে মৃত্যুহারও আগে কমতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রতি জোড়ার দুই দেশে এক্ষেত্রে পার্থক্য তেমন একটা নেই।

গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৮৯-২০০৬ সাল পর্যন্ত এ রোগে মৃত্যুহার উত্তর আয়ারল্যান্ডে ২৯ শতাংশ ও আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রে ২৬ শতাংশ; নেদারল্যান্ডে ২৫ শতাংশ, বেলজিয়ামে ২০ শতাংশ এবং সুইডেন ও নরওয়েতে ২৪ শতাংশ কমেছে।

এতে আরো বলা হয়, চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতির দক্ষতাই মূলত স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুহার কমার সম্ভাব্য কারণ।

অনেকের মতে, স্তন ক্যান্সার সনাক্তের পরীক্ষা বেশি বার করার অর্থ হলো অনেক নারীকেই অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান। আর এতে তাদের ওপর যে শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়ে তা কখনই দূর করা যায় না।

বিশ্বে প্রতি বছর এ রোগে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ, আর প্রতি বছর প্রায় ১৩ লাখ নারীর দেহে এ রোগ ধরা পড়ে।