এই সংখ্যা আগের মাসের চেয়ে কম। সেপ্টেম্বরে এই মৌসুমের সর্বাধিক ৭ হাজার ৮৪১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ২৩ জনের।
তার আগের মাস অগাস্টেও ৭ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী ছিল। সে মাসে ৭ হাজার ৬৯৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার জানিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৪৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৭৫৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর ৬০৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৫০ জন।
চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে ২৩ হাজার ৮০১ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ২২ হাজার ৯৫৪ জনই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কারও রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়তে থাকায় এ পর্যন্ত ৯১ জনের প্রাণ গেল এইডিস মশাবাহিত এই রোগে।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেই ভর্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৫৩৯ জন। আর এই দুই মাসে মারা গেছে ৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল।