স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৬ জন।
গত একদিনে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি শিশু কিশোর। শূন্য থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনটি বয়স শ্রেণির মোট ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ আক্রান্ত।
বাকিদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৭ দশমিক ১ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪ শতাংশ ও ৬০ বছরের বেশি বয়সী দশমিক ৮ শতাংশ।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ৯০১ জন রোগী। এর তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৩১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগে ১৭০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ১৯ হাজার ১৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ১৫৯ জন।
এ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়তে থাকায় গত তিন মাসেই ৭৩ জনের প্রাণ গেল এইডিস মশাবাহিত এই রোগে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮৪১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এতে প্রাণ গেছে ২৩ জনের।
এর আগে অগাস্ট মাসে ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল।