কোভিড: ‘ডেল্টা’ ধরনের বিরুদ্ধে চীনের দুটি টিকা ‘কম কার্যকর’

সারা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করা করোনাভাইরাসের ‘ডেল্টা ধরনের’ বিরুদ্ধে চীনে তৈরি দুটি টিকা ‘কম কার্যকর’ বলে জানিয়েছেন চীনের একজন গবেষক।

নিউজ ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2021, 03:26 PM
Updated : 25 June 2021, 03:26 PM

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ‘সেন্ট্রাল টেলিভিশনে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই গবেষক এ কথা বলেন।

চায়নিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভনশনের সাবেক উপ-পরিচালক ফেং জিয়াং সাক্ষাৎকারে টিকা দুটির নাম উল্লেখ করেননি, বিস্তারিতও বলেননি।

তবে তিনি জানিয়েছেন, ওই টিকা দুটি ‘মৃত করোনাভাইরাস’ থেকে তৈরি ‘ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন’ এর ধরনে পড়েছে।

এ ধরনের টিকায় পরীক্ষাগারে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে সেটাকে মেরে ফেলার পর টিকায় ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে ওই ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

চীনে গণটিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা দেশটির তৈরি সাতটি টিকার মধ্যে পাঁচটি ‘ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন’। এর মধ্যে সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং সিনোফার্মের টিকাও রয়েছে, যা ব্রাজিল, বাহরাইন এবং চিলিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ দুটো টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছেন।  

চীনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের তিনটি নগরীতে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে সেখানে গত ২১ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ১৭০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

তবে তাদের মধ্যে কতজন ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানা যায়নি। সম্প্রতি গুয়াংডংয়ে পাওয়া নতুন রোগীদের ৮৫ শতাংশই প্রাদেশিক রাজধানী গুয়াংঝুর বাসিন্দা।

ফেং জিয়াং বলেন, “গুয়াংডং প্রাদুর্ভাবে… টিকা নিয়ে আক্রান্তদের কারো অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠেনি এবং গুরুতর রোগীদের কেউই টিকা নেননি।”

দেড় বছর আগে মানুষে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতে এর যে পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়েছে, তা নাম পেয়েছে ডেল্টা।

এই ধরন বা ভ্যারিয়েন্টটি (বি.১.৬১৭.২) অতি সংক্রামক হওয়ায় এর আগেই একে ‘বিশ্বের উদ্বেগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে এই ধরনটির কারণেই। বাংলাদেশেও এ ধরনটির দাপটের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।