এক্ষেত্রে বিয়ে ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “শীতের সময় বিয়েশাদি হয়, এটা সীমিত করতে হবে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেটা হয়, মিলাদ এগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে করতে হবে। পিকনিক হয়, কক্সবাজারে লাখো মানুষ গাদাগাদি করে হাঁটছে দেখলাম। এগুলো করলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।”
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকারের ‘প্রস্তুতি রয়েছে’ বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সেকেন্ড ওয়েভের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই আবার লকডাউন দিচ্ছে। মৃত্যুর হার ১০ ভাগের বেশি হয়ে গেছে। আমরা চাই না আমাদের এখানেও এমন কিছু হোক। স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কোভিড-১৯ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কাজেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও জনমনে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
করোনাভাইরাসের টিকা আনার বিষয়ে ‘শিগগিরই’ সুখবর দেওয়ার আশাবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “করোনাভা্ইরাসের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যে জানা যাবে, বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
“এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও অনুমোদন পেয়ে গেছি। ভ্যাকসিন যেটা প্রয়োজন হবে, ভালো হবে সেটার ব্যবস্থা আমরা করব।”
জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে চক্ষুদাতার সংখ্যা কম। চক্ষুদানে উৎসাহিত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “রক্ত পরিসঞ্চালন এবং মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত অর্জন, তার সব এসেছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। সরকার সব সময় সন্ধানীর পাশে আছে।”
স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষুদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ১৪ লাখ মানুষ অন্ধ। এর মধ্যে কর্নিয়াজনিত কারণে অন্ধ হয়েছেন ৫ লাখের বেশি মানুষ। স্বেচ্ছায় চক্ষুদানে এগিয়ে আসলে এদের অনেকেই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে পারেন।”
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী।