বলে বৃহস্পতিবার প্রগতির জন্য জ্ঞান-প্রজ্ঞার ট্রান্সফ্যাট প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একদিন আগেই ডব্লিউএইচও ‘হু রিপোর্ট অন গ্লোবাল ট্রান্সফ্যাট অ্যালিমেনেশন ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বে ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ঘটে ১৫টি দেশে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশে প্রতিবছর হৃদরোগে যে মৃত্যু হয় তার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ি ট্রান্সফ্যাট।
বাংলাদেশে প্রচলিত ডালডায় খাদ্যে উচ্চমাত্রার চর্বি জাতীয় পদার্থ ট্রান্স-ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া গেছে।
ডালডায় ২৫ থেকে ৪৫ শতাংশ ট্রান্সফ্যাট থাকে। সাধারণত খরচ কমানোর জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে সিঙ্গারা, সমুচা, পুরি, জিলিপি, চিকেন ফ্রাইসহ বিভিন্ন ভাজা পোড়া খাবার তৈরির সময় এসব ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ডব্লিউএইচওর ১৫টি দেশের তালিকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, লাটভিয়া ও স্লোভেনিয়া ইতোমধ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে নীতি গ্রহণ করেছে।
প্রজ্ঞার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সব দেশ সম্প্রতি সব খাবারে প্রতি ১০০ গ্রাম ফ্যাটে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২ গ্রামে সীমিত করেছে অথবা পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল- পিএইচও’র উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
বাকি ১১টি দেশ বাংলাদেশ, ইরান, ভারত, মেক্সিকো, নেপাল, পাকিস্তান, কোরিয়া, মিশর, আজারবাইজান, ভুটান, ইকুয়েডরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ডব্লিউএইচও আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়ালেএক অনুষ্ঠানে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, “যখন গোটা বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ে লড়াই করছে, এ অবস্থার মধ্যেও আমাদের অবশ্যই মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
“২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্সফ্যাটমুক্ত বিশ্ব অর্জনের যে লক্ষ্য রয়েছে, তাতে আমাদের কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না।”
বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে প্রজ্ঞা।