টেস্ট বাড়ান, পিপিই যা লাগবে নেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করতে পরীক্ষা বাড়াতে বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, চিকিৎসকদের সুরক্ষায় পিপিইরও কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2020, 11:53 AM
Updated : 7 April 2020, 11:53 AM

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বিভিন্ন স্থানের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত হন।

জাহিদ মালেক বলেন, “ঢাকায় ৯টা এবং বাইরে ৭টা ল্যাব বসানো হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় ভালো করে টেস্ট করানোর দায়িত্ব আপনাদের (স্বাস্থ্যকর্মী)।

“যত বেশি নির্ণয় করতে পারি… পজেটিভ হলে আইসোলেট করে রাখতে পারব। টেস্ট কয়েকগুণ বাড়াতে হবে। এখন ফ্যসিলিটিজ বেড়েছে।”

বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর শুধু ঢাকায় আইইডিসিআরেই পরীক্ষা হত। পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে অভিযোগের প্রেক্ষাপটে এখন ঢাকার বাইরেও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করাকে নিয়ামক মনে করছেন গবেষকরা।

ছোঁয়াচে রোগের চিকিৎসায় চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষার দিকে নজর রাখতে বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “পিপিই যা লাগে দেবেন। পিপিই অনেক পাচ্ছি, দিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আরও দেব।”

তবে বিশেষায়িত এই সুরক্ষা পোশাকের সঠিক ব্যবহার যেন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতেও বলেন জাহিদ মালেক।

যখন ক্রমশ ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে তখন পরিবারসহ মালয়েশিয়া গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “সারা পৃথিবীতে লাখো আক্রান্ত। এ ধরনের পরিস্থিতি আমরা কখনও দেখিনি। ১৯১৮ না কত সালে প্লেগের কথা শুনেছি, বসন্তের কথা শুনেছি।

“আমাদের দেশে করোনার থাবা এসেছে। তবে আমরা এখনও অন্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। মৃত্যুর সংখ্যাও কম, আক্রান্তের সংখ্যাও কম।”

পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সেজন্য কোয়ারেন্টিনে যারা আছেন, তাদের সেই অবস্থায় থাকা নিশ্চিত করার উপর জোর দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থসেবা কেন্দ্রে কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা পরিচালক, ডাক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আছেন… আমাদের হাজিরা যেন ঠিক থাকে। হাজিরা কমে গেছে, হাসপাতালে যেন হাজিরা কম না থাকে।”

“নরমাল সেবা যেন ব্যাহত না হয়। সেদিকে খেয়াল করতে হবে। আইলোশন ওয়ার্ড যারা বানিয়েছেন, সেটা যাতে সঠিকভাবে ম্যানেজ হয়।”

জেলা-উপজেলায় বেসরকারি হাসপাতাল চালু রাখা নিশ্চিত করার উপরও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন তিনি।