দেশে বছরে ৭ হাজার নারীর মৃত্যু স্তন ক্যান্সারে

বাংলাদেশে প্রতি বছর অন্তত সাড়ে ১২ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এই রোগে প্রতি বছর মৃত্যু হচ্ছে সাড়ে সাত হাজার নারীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2019, 05:46 PM
Updated : 25 Oct 2019, 05:46 PM

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির (ডিআরইউ) নারী সদস্য ও পরিবারের নারীদের জন্য স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং নিয়ে আয়োজিত হেলথ ক্যাম্পে এ তথ্য জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

ডিআরইউর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের নেতৃত্বে একদল নারী চিকিৎসক ক্যাম্পে অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই ক্যাম্প চলে।

অনুষ্ঠানে ডা. রাসকিন বলেন, দেরিতে রোগ ধরা পড়া,  সঠিক ও পরিপূর্ণ চিকিৎসা না নেওয়া এবং চিকিৎসা পরবর্তী ফলোআপ না হওয়া স্তন ক্যান্সার ফিরে আসার অন্যতম কারণ।

“স্তন ক্যান্সার হওয়ার একটি কারণ হতে পারে সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো। তাই সন্তানকে নিয়মিত বুকের দুধ পান করাতে হবে। এছাড়া বেশি বয়সে সন্তান, ৩০ বছর বয়সের পর বিয়ে ও প্রথম সন্তানের মা হওয়া স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।”

সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, “শাকসবজি ও ফলমূল না খেয়ে চর্বি ও প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, স্তন ক্যান্সারের ব্যাপকতা কমাতে সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

“প্রাথমিক অবস্থায় এটা নির্ণয়ের জন্য স্ক্রিনিং কর্মসূচি জনগণের নাগালের মধ্যে নেওয়া প্রয়োজন। সরকার ইতোমধ্যে আটি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২৩শ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছে।”

এ প্রকল্প বাস্তাবায়িত হলে নতুন ক্যান্সার কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা ও স্ক্রিনিং সহজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর লালমাটিয়ায় কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারে (৭/৯ বি ব্লক) শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ও অন্যান্য দিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডিআরইউ সদস্য ও পরিবারের নারীরা এ সেবা নিতে পারবেন।

রেডিয়্যান্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ও কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই হেলথ ক্যাম্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।

কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুজ্জামানসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ক্যাম্পে অংশ নেন।