মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালি বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের জবাবে তিনি একথা বলেন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী এ সংক্রান্ত নোটিশ উত্থাপন করেন।
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক বেসরকারি হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আমরা অনেক অভিযোগ পেয়েছি। মুমূর্ষু রোগীকে আটকে রেখে টাকা আদায় করা হয়। মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা হয়। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে- রোগী মারা গেছে, কিন্তু রোগী লাইফ সাপোর্টে আছে বলে টাকা আদায় করা হয়েছে।”
বাংলাদেশে অনেকে ‘ফাইভ স্টার’ হোটেলের মতো হাসপাতাল চালায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাদের বোঝা উচিত, মানুষ জীবন বাঁচাতে মানবিক কারণে হাসপাতালে যায়। অথচ এই রোগীদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হয়। এটা একটা ক্রাইম।”
চিকিৎসক সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজিকে উদ্দেশ করে নাসিম বলেন, “চিকিৎসা নিয়ে তিনি অনেক কথা বলেন। কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলা নিয়ে কিছু বলেন না। কারণ এখানে শ্রেণিস্বার্থ কাজ করে।”
এর আগে বিরোধী দলের সদস্য লিলি চৌধুরী নোটিশে বলেন, রাজধানীসহ দেশের বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টের নামে রোগীকে আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা আদায় ও নানা ধরনের হয়রানি করা হয়।
বারডেম হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “বারডেম একটি বড় হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসার জন্য আমরা সংসদ সদস্যরা গেলে যে আচরণ করা হয় তাতে বলার অপেক্ষা রাখে না সাধারণ মানুষের প্রতি কী ব্যবহার করা হয়।”
বারডেম হাসপাতাল নিয়ে কিছু করার পাশাপাশি পাশাপাশি জনগণের জন্য হেলথ ইন্সুরেন্স চালুর বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান লিলি চৌধুরী।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বারডেম একটি বেসরকারি হাসপাতাল। যেখানে যদি এ ধরনের অবহেলার বিষয় থাকে নিশ্চয়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন।”
হেলথ ইন্সুরেন্স নিয়ে তিনি বলেন, সরকার বিদেশি অর্থায়নে টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ঘাটাইলে অতিদরিদ্র মানুষের জন্য পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ ধরনের ইন্সুরেন্স চালু করেছে। হেলথ কার্ডের মাধ্যমে তারা ৪০ ধরনের রোগের চিকিৎসা পেয়ে থাকেন।
“এখানে অর্থমন্ত্রী উপস্থিত রয়েছেন। উনি যদি অর্থের যোগান দেন তাহলে তারা সারা দেশে এই হেলথ কার্ড চালু করবে।”