বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত ‘ট্রেনিং ইস্যুজ অন এন্ডোসকপিক-ল্যাপাররোস্কপিক সার্জারি: বাংলাদেশ পারপেকটিভ’ শীর্ষক এক সেমিনারের পর এ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।
ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর এন্ডোসকপিক-ল্যাপাররোস্কপিক সার্জারি(ইউসিইএলএস) সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হেকেপ প্রজেন্টের’ সহায়তা এ সেমিনারে আয়োজন করে।
সেমিনারে বাংলাদেশে কৃষি, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে বিপ্লব ঘটেছে মন্তব্য করে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মান্নান বলেন, “এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হলে তরুণ ডাক্তারা নতুন কিছু শিখবে। তারা জানতে পারবে অস্ত্রোপচার ছাড়াও কী করে চিকিৎসা দেওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে ইউসিইএলএসর পরিচালক ডা. এএইচএম তৌহিদুল আলম মূল বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, এই সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ দেশের চিকিৎসকরা আর্ন্তজাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। রোগীরা পাবেন এন্ডোসকপিক-ল্যাপাররোস্কপিক সার্জারি সুবিধা।
এন্ডোসকপিক আল্টাসাউন্ডের মাধ্যমে জটিল রোগ নির্ণয় করা যাবে জানিয়ে ডা. তৌহিদ বলেন, “এর মাধ্যমে রোগীর অস্ত্রোপচার করা যাবে কিনা তাও নির্ধারণ করা যাবে। অন্যদিকে ল্যাপারোস্কপিক সার্জারিতে রোগীর ভোগান্তি কম হয়।
“তুলনামূলকভাবে কম সময়ে হাসপাতালে থাকতে হয় বিধায় রোগীর চিকিৎসা জন্য সামগ্রিক ব্যয়ও কম হবে। এতে রোগী শারীরিকভাবে উপকৃত হবে। অস্ত্রোপচারের পর রোগী কম ব্যথা অনুভব করে এবং দাগ থাকে না বলেই চলে।”
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জিুর কমিশনের হেকেপ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।