অসচ্ছল ও অসুস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি শিল্পকর্মে বিশেষ অবদানের জন্য বৃত্তি দেওয়ার মত কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করল ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’।
বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসে ট্রাস্টের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, “সারাদেশের সব ধরনের শিল্পীদের কল্যাণে 'বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট' কাজ করবে। কবি-সাহিত্যিকদের পাশেও এটি দাঁড়াবে। শিল্পীদের একটি আশ্রয়ের জায়গা হিসেবে এটি কাজ করবে।”
গত ১৭ জুলাই ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে।
বাংলা একাডেমি থেকে তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে এক কর্মচারীকে অস্থায়ীভাবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নবগঠিত এ দপ্তরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০০১ সালে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন হওয়ার দশ বছর পর ১৭ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৬ মার্চ বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়।
তার আগে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়, যা সোনালী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া হয় ২০ কোটি টাকা অনুদান। তবে নীতিমালা না থাকায় এতদিন স্থবির ছিল ট্রাস্টের কাজ।
অবশ্য কোভিড মহামারীতে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রাস্ট থেকে ৭ হাজার ৯২৬ জন অসচ্ছল শিল্পীকে মোট ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুদার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।