তারকা সন্তান হিসেবে বেড়ে ওঠার নেতিবাচক দিক নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ। ৫৩ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী নিজের সন্তানদের খ্যাতির বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা করতে চান।
সম্প্রতি অভিনেত্রী নেটফ্লিক্স সিনেমা ‘দ্য মাদার’ এর প্রচারে গিয়ে নিজের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে সিএনএন জানিয়েছে। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য মাদার।’
‘দ্য মাদার’ এ লোপেজ একজন ঘাতকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, বহুবছর আগে ছেড়ে যাওয়া এক শিশুকে যিনি রক্ষা করতে আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসেন।
নিজের সন্তানদের কী থেকে রক্ষা করতে চান, মার্কিন গণমাধ্যম ‘অডিসি’র এই প্রশ্নে অভিনেত্রী অকপটে বলেন, “সবকিছু থেকে।”
“খ্যাতিমান পিতামাতার সন্তান হওয়া এমন একটি বিষয়, যা অনেকেই বুঝবে না। এটি আমাকে বেশ ভাবায়, কারণ আমার বাচ্চারা স্বেচ্ছায় এটি বেছে নেয়নি।”
আজকাল নিজের সন্তানদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন বলে লোপেজ জানান। তাদের কাছে জানতে চান, সকলে ঠিক কেমন আচরণ করেন তাদের সাথে।
“তারা উঠে ঘরে চলে গেলেই, আশেপাশের সকলেই তাদের বিখ্যাত মা-বাবার দিকে মনোযোগ দেন, মানুষ প্রায়শই তাদের স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করতে ভুলে যায়। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য সব সময়ই নজরবন্দী থাকার বিষয়টি মেনে নেওয়া বেশ কঠিন।”
সন্তানদের জীবনের এমন পরিস্থিতির জন্য মা হিসেবে নিজেকেই অপরাধী মনে করেন লোপেজ।
জেনিফার বিয়ে করেছেন চারবার। ১৯৯৭ সালে কিউবান লেখন ওয়ানি নোয়ার সঙ্গে তার প্রথম বিয়ে এক বছর টিকেছিল। ২০০১ সালে অভিনেতা ক্রিস জুডের সঙ্গে তার বিয়ে টেকে দুই বছর।
এরপর কিছুদিন বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে কাটিয়ে ২০০৪ সালে ‘জে লো’ গাটছড়া বাঁধেন গায়ক-অভিনেতা মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে। দুই সন্তানের বাবা-মা হওয়ার পর ১০ বছর বাদে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
তৃতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ২০১৭ সালে বেসবল খেলোয়াড় অ্যালেক্স রড্রিগেজের সঙ্গে ‘লিভ ইনে’ ছিলেন জেনিফার লোপেজ। চার বছর পর সেই সম্পর্ক ছিন্ন করে পুরনো প্রেমিক বেন অ্যাফ্লেককে আবারও বিয়ে করেন তিনি।