সিলেটের নাট্যদল ‘থিয়েটার মুরারিচাঁদ’ ঢাকার মঞ্চে আনছে নাটক ‘পুতুল মানুষ’; নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় আছেন উজ্জ্বল সিংহ।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে ‘ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসবে’ নাটকটির চতুর্থ প্রদর্শনী হবে। এর উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছিল গত বছরের ২ ডিসেম্বর কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে।
নির্দেশক উজ্জ্বল সিংহ গ্লিটজকে বলেন, “থিয়েটার মুরারিচাঁদ আমার কলেজের একটা নাট্যদল। আর পুতুল মানুষ আমার প্রথম নির্দেশিত নাটক। দীর্ঘদিন নাটকের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা থেকেই নাটকটি করার সাহস করেছি। প্রথম কাজ, এজন্য অন্য কোনো নাট্যকারের লেখা বা গল্পে কাজ করার পরিকল্পনায় না গিয়ে নিজের লেখা গল্পেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।”
কাজটি ‘চ্যালেঞ্জিং’ জানিয় উজ্জ্বল সিংহ বলেন, “এই নাটকের গল্প, চরিত্র, গল্পের ভাবনা ও সবকিছুর বিশ্লেষণ করে প্রতিটি মুহূর্তের তৈরি এবং মুহূর্তগুলিকে মঞ্চে দর্শকদের সামনে প্রাণবন্ত করে তোলার চেষ্টা করেছি। এটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে উঠে, আর এই চ্যালেঞ্জটি আরো অনেক বড় হয়ে উঠে যখন দেখি এই নাটকের কলাকুশলীরা প্রায় সবাই নতুন।“
নবাগতদের নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এই নির্দশক বলেন, “বলতে গেলে একদম শূন্য থেকেই তাদেরকে নিয়ে এই নাটকটির কাজ শুরু করতে হয়েছে। আমি আশা করছি থিয়েটার মুরারিচাঁদের এই 'পুতুলমানুষ' নাটকটি দর্শক মহলের হৃদয়ে ভালোলাগার তৈরি করবে।”
পরাণচর গ্রামের হারুন বাউল এবং তার পরিবারের সহজ-সরল জীবন এই নাটকের মূল উপজীব্য। নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়- “হারুন বাউল তার গানের দল নিয়ে গ্রামে গ্রামে গান করে বেড়ায়। এতে যে টাকা আসত তা দিয়েই কোনোরকম তার সংসার চলে। হারুনের প্রতিবেশী ফজলু মিয়ার পরিবার ও আর কয়েকজন ছাড়া তার এমন বাউলের জীবন-যাপন কিছু মানুষ সহজে মেনে নিতে পারেনা, তারা তাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকায়।
পরাণচর গ্রামের মহাজনের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় হারুন বাউলের প্রতিবেশী ফজলু মিয়া হারুন বাউলকে গ্রাম ছেড়ে কয়েকদিনের জন্য গা-ঢাকা দিতে বলে। পালাতে গিয়ে ঘটে বাউলের মনে হয়, সুর তাকে আটকে ধরেছে।
নাটকে অভিনয় করেছেন সৌরভ সরকার, অর্চিতা দেব অর্পা, আফসানা রহমান, সোয়েব আহম্মদ, অনিক প্রধান, জুয়েল কান্তি দাস, সায়মা জাহান, সাব্বির শুভ, রিংকু মালাকার, অরূপ তালুকদার, গৌরভ তালুকদার, আবিদা আক্তার, ফৌজিয়া নওরিন, উম্মে সালমা খান ঋজু, ঊষাকান্ত বিশ্বাস, আয়ান হোসেন, সৈকত দাশ, প্রতীক সিংহ।
নাটকটি নির্দেশনার পাশাপাশি মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন উজ্জ্বল সিংহ। আলোক প্রক্ষেপণে আছেন বদরুল আলম। সংগীতে রচনা করেছেন উজ্জ্বল সিংহ. সুর সৌরভ সরকার ও উজ্জ্বল সিংহ। আবহ সংগীত পরিকল্পনায় সৌরভ, প্রতীক, সৈকত, অর্পা, আফসানা।
এছাড়া পোশাক পরিকল্পনা করেছেন অরুণা সিনহা ও অর্পা। রূপসজ্জায় আঁখি দেব, রেজাউল করিম রাব্বি। দ্রব্য সামগ্রী পরিকল্পনায় কামরুল ইসলাম, রিংকু মালাকার, জাফরান মারুফ।