নিখোঁজের তিন দিন পর চট্টগ্রামে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ বলছে, শিশুটিকে ‘বিক্রির’ টাকা দিয়ে অপহরণকারীদের একজন নতুন বাইক কিনেছিলেন।
এ ঘটনায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও হাটহাজারী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নূর ইসলাম ওরফে মুরাদ (২৪), মো. জুয়েল (১৯), মো. রাসেল (৩৭) ও রীনা আক্তার (৩০)।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল চান্দগাঁও থানার মোহরা এ এল খান স্কুলের পেছনে সেমিপাকা কলোনী থেকে আড়াই বছর বয়সী একটি শিশু ‘হারিয়ে’ যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তের সূত্র ধরে চারজনকে গ্রেপ্তার ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাসেল ও রীনা পরস্পর আত্মীয়। রীনা নিঃসন্তান হওয়ায় তিনি একটি বাচ্চা দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। সেজন্য টাকার বিনিময়ে বাচ্চা খুঁজে দিতে মুরাদকে বলেছিলেন রাসেল। টাকার লোভে জুয়েল ও পারভেজ নামে আরেক জনকে নিয়ে মুরাদ আড়াই বছর বয়সী শিশুটিকে চুরি করেছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা খায়রুল বলেন, “মুরাদ ও অন্যরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে এক মাস ধরে শিশু চুরির সুযোগ খুঁজছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল মোহরা থেকে শিশুটিকে চুরি করেন।
“নিখোঁজ ডায়েরির পর আশেপাশে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে যে অটোরিকশায় করে শিশুটিকে চুরি করা হয়েছিল, সেটি শনাক্ত করে আটক করা হয়। চালকের কাছ থেকে মুরাদ ও জুয়েলের তথ্য পেয়ে শুক্রবার তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।”
পরে তাদের দেওয়া তথ্যে হাটহাজারীর ছিপাতলী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে রাসেল ও রীনাকে আটক করে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
শিশুটির জন্য মুরাদকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা খায়রুল বলেন, “এর মধ্যে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে সে একটি মোটর সাইকেল কিনেছিল। পুলিশ শিশু চুরির কাজে ব্যবহার করা সিএনজি অটোরিকশার পাশাপাশি মোটর সাইকেলটিও জব্দ করেছে।”