চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সাত বছর আগের জিল্লুর ভাণ্ডারি হত্যা মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার ভোরে ঢাকার তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকা থেকে তোতা মিয়া নামে যাবজ্জীবন সাজার ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তোতা মিয়া সপরিবারে ঢাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন।
“আগে গ্রেপ্তার এক আসামির দেওয়া তথ্যে বেশ কয়েক মাসের নজরদারির পর তোতা মিয়াকে ভোর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।”
২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছে জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লুর ভাণ্ডারিকে মারধরের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ মামলার রায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- শহীদুল ইসলাম খোকন ও ইসমাইল। আর আবু, কামাল, জসিম, নাছির ও সুমনের সঙ্গে তোতা মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
র্যাব-৭ অধিনায়ক ইউসুফ জানান, হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তোতা। পরে জামিনে বেরিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
“ঢাকায় গিয়ে তোতা উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে বাসা ভাড়া করেন। চুল-দাড়ি বড় করে বেশভূষা পাল্টে ফেলেন। সেখানে তিনি শুরুর দিকে ব্যটারি চালিত অটোরিকশা চালাতেন। পরে সিএনজি অটো রিকশা চালানো শুরু করেন।
তোতা মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।