চট্টগ্রামে ডিএনএ ও ফরেনসিক পরীক্ষায় আটকে ৯৬৫ মামলা

“মামলার তদন্তে শুধুমাত্র আসামির দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর নির্ভর না করে তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে," বলেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা।

ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য ৯৬৫টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আটকে আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মো. রবিউল আলম।  

বুধবার বিকেলে আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে তিনি এ তথ্য জানান।   

চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা কনফারেন্সে বলেন, "মামলার তদন্তে শুধুমাত্র আসামির দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর নির্ভর না করে তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।"  

মুখ্য মহানগর হাকিম রবিউল আলম বলেন, "মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট এর জন্য ৯৬৫টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আটকে আছে।" 

তিনি ৯৬৫টি মামলার তালিকা উপস্থাপন করে দ্রুততম সময়ে মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরকেও পরিবেশ আইন প্রয়োগে তৎপর হওয়ার আহবান জানান।  

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজন, চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটরা এবং অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিটিসিএল, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনে।