পুলিশ বলছে, দুই জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরির জেরে ছুরিকাঘাতে খুন করেন প্রেমিক।
Published : 05 Oct 2024, 06:59 PM
চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিক তরুণীকে খুনের ঘটনায় তার ‘প্রেমিক’কে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছে, ‘সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টির’ জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত নয়টায় নগরীর পাঁচলাইশ থানার হাদুমাঝির পাড়ার মুছা বিল্ডিংয়ের সামনে বিলের পাশে ১৭ বছর বয়সী মরিয়ম আক্তার সামিরাকে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
পটুয়াখালী জেলা সদরের ফিরোজ উদ্দিনের মেয়ে সামিরা নগরীর পাঁচলাইশ থানার আতুরার ডিপো এলাকার থাকতেন।
এ ঘটনায় গভীর রাতে রাঙ্গুনিয়া থানার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকার আহমদুল হকের কলোনি থেকে মো. তারেক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০ বছর বয়সী তারেক পেশায় রাজমিস্ত্রী। তিনি নগরীর পাঁচলাইশ থানার হাদু মাঝির পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
শনিবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, “সামিরার সঙ্গে তারেকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরই জেরে তারেক শুক্রবার রাতে সামিরাকে দেখা করার জন্য টেলিফোন করে ডেকে নেয়।
“তারেক একটি ছুরি কিনে তার সঙ্গে রাখে। দেখা হওয়ার পর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। অন্য কারও সঙ্গে সামিরার সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহের কথা জানায় তারেক। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সামিরার গলায় একের পর এক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারেক।”
স্থানীয়রা সামিরাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সামিরার ভাই মো. পারভেজ উদ্দিন রাতেই পাঁচলাইশ থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযানে নামে।
পুলিশ কর্মকর্তা তারেক আজিজ জানান, তারেকের দেওয়া তথ্যে ‘হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি’টি উদ্ধার করা হয়েছে।