মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন স্থাপনা এবং একটি জাহাজ পরিদর্শন করেন দলের সদস্যরা।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মূলত ‘আইএসপিএস কোডের’ (জাহাজ ও বন্দর ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা ঝুঁকি) আওতায় বিভিন্ন নিয়ম মানা হচ্ছে কি না তা দেখতে এসেছে প্রতিনিধি দলটি। এর আগে তাদের টিম এসেছিল। তখনকার পর্যবেক্ষণের সঙ্গে এখন বন্দরের পরিস্থিতির উন্নতি তারা দেখছেন।
যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য এনে থাকে সেখানকার ‘নিরাপত্তা কর্মসূচি’ খতিয়ে দেখে দেশটির কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট বন্দরে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি দেখলে দলের সদস্যরা সে সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণ চট্টগ্রাম বন্দরকে দেবে। সে আলোকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
বন্দরের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রে কোস্টর্গার্ডের অগ্রবর্তী দল হিসেবে দুই সদস্য এসেছেন। আগামী অগাস্ট মাসে মূল দল আসবে।
‘‘প্রথম দিন তারা বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবেস্থা, এনসিটি ও সিসিটি এবং ওভারফ্লো ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা একটি জাহাজও পরিদর্শন করেন।’’
বন্দর পরিদর্শন করে ‘তারা খুশি’ দাবি করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন অগ্রগতি দেখে তারা সন্তুষ্ট। বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জাহাজ ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সিস্টেম সবকিছুর উন্নতি হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
বুধবার দ্বিতীয় দিনে কোস্টগার্ডের সদস্যরা ইস্টার্ন রিফাইনারিসহ কয়েকটি কন্টেইনার ডিপো এবং বন্দর সংশ্লিষ্ট স্থাপনা পরিদর্শন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরদির্শনে এমন এক সময়ে এলেন যখন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুনে ব্যাপক হতাহত নিয়ে আলোচনা চলছে।
গত ৪ জুন রাতের ওই ঘটনায় ডিপোতে পুড়ে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ কন্টেইনারে রপ্তানির জন্য রাখা তৈরি পোশাক ছিল।