শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার পৌর মিলনায়তনে উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে দেশের মানুষও হাসে, হনুমানও হাসে। সরকার নাকি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তিনি এমন বক্তব্য রেখেছেন। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় কুমিল্লার ঘটনার পেছনে তাদের ইন্ধন ছিল।
“সরকার দেশ চালায়, সরকার সবসময় চায় দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি থাকুক। এ কথার মধ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বাংলাদেশের সব মানুষকে বোকা ভেবেছেন। তিনি মনে করেছেন এই কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানাবেন। এটিতে দেশের মানুষ যেমন হাসছে, হনুমানও হাসে।“
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ
বলেন, আজকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, কুমিল্লার ঘটনায় কারা মিছিল বের করেছে, সেই ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। তারা কোন দলের সমর্থক, তারা কোন মতাদর্শে বিশ্বাস করে সেগুলো বের করে জনসমক্ষে আমরা প্রকাশ করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের এই দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি কোনভাবেই বিনষ্ট হতে দেব না।
“যারা এই বিশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত ছিল, এখনও যুক্ত আছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে কিংবা চালাচ্ছে, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারা সেখানে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা অতি সহসা দিবালোকের মতো পরিস্কার হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।“
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ উন্নয়নের প্রশংসায় পুরো বিশ্ব পঞ্চমুখ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার প্রশংসা পছন্দ হয়নি বিধায় নানা ধরণের ষড়যন্ত্র হয়।
“কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটিয়ে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে এটির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এটির পেছনে বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যুক্ত। তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই বিশৃঙ্খলা কঠোর হস্তে দমন করেছে।“
ছাত্রলীগ নেতা বিনির্মাণের কারখানা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে যেন লেখাপড়ার ক্ষতি না হয় তিনি সবসময় সেই পরামর্শ দেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল গুপ্তের সঞ্চালনায় সম্মেলনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, শাহজাহান সিকদার ও নজরুল ইসলাম তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: