শুক্রবার সকালে পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর ইসমাইল কলোনীর ওই বাসা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয় বলে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, ৩১ বছর বয়সী মা সুমিতা খাতুন এবং তার আড়াই বছরের ছেলে সান বাবুর লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলছিল। সাত বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত মায়মুনের লাশ পাওয়া গেছে খাটে শোয়ানো অবস্থায়।
সুমিতার স্বামীর নাম সোহেল রানা। নগরীর মুরাদপুর এলাকায় ইউনানী ওষুধের ব্যবসা করেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। চট্টগ্রামে তারা ইসমাইল কলোনীর এসএস টাওয়ার নামের ওই ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।
পরিদর্শক সাদিকুর রহমান বলেন, জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘরের প্রধান দরজা এবং শোবার ঘরের দরজা ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকে বন্ধ করা ছিল। সকালে দরজা ভেঙে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে মানে হচ্ছে, দুই সন্তানকে হত্যা করে মা আত্মহত্যা করেছেন। খাটের ওপর শোয়ানো মেয়ের গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল। ছেলে আর মায়ের লাশও গলায় রশি ও কাপড় প্যঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল।”
তবে কেন কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, পুলিশ তা ‘খতিয়ে দেখছে’ বলে জানান উপ-কমিশনার মোখলেসুর।
বাসার নিরাপত্তাকর্মী মো. ফোরকান সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সোহেল রানা বাসায় ফিরে ডাকাডাকি করে না পেয়ে ফিরে যান। রাত ১২টার দিকে তিনি আবার এসে ডাকাডাকি করেন, কিন্তু ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে রাত ৩টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ ডাকেন।
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানাও প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে মনে হওয়ার কথা সাংবাদিকদের বলেন।