বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি আমিন জুট মিলের শ্রমিকদের

অবিলম্বে বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের শ্রমিকরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2021, 04:14 PM
Updated : 12 Oct 2021, 04:14 PM

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বন্ধ হয়ে যাওয়া আমিন জুট মিল সিবিএ, নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে দেড়শ স্থায়ী এবং এক হাজার ২০০ এর মতো অস্থায়ী শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমিন জুট মিলের শ্রমিক মো. সিরাজ বলেন, সরকার কোনো নোটিশ ছাড়াই ২০২০ সালের জুলাই মাসে আমিন জুট মিলসহ ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেয়। ওইসময় সবার পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও সব শ্রমিক তাদের পাওনা পাননি।

“মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু করলেও ১৫০ জন স্থায়ী ও এক হাজার ২০০ এর মতো অস্থায়ী শ্রমিক তাদের বকেয়া পাননি।“

তিনি বলেন, অন্য অনেকের পাওনা পরিশোধ করা হলেও এদের বকেয়া পাওনা রহস্যজনক কারণে আটকে আছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওই এলাকার সংসদ সদস্যও বকেয়া পরিশোধের জন্য সুপারিশ করলেও তা কোনো কাজে আসেনি।

মিল বন্ধের কারণে চাকরি হারানো স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকরা তাদের বকেয়া না পাওয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণকালীন সময়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা জরুরিভিত্তিতে পাওনা পরিশোধে বিজেএমসি ও মিল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বকেয়া পাওনা পরিশোধ ছাড়াও এনআইডি কার্ডের বদলে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে পাওনা পরিশোধ, ভূমি দস্যুদের কবল থেকে জুট মিলের জায়গা রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের নির্দেশ আসার পর ২০২০ সালের ৩ জুলাই মিলের উৎপাদন স্থগিত হয়ে যায়। সেসময়ে মিলের স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ২৯২ জন এবং বদলি শ্রমিক ছিলেন দুই হাজার ৩০০ এর মতো।

আমিন জুট মিলের কলোনিতে জায়গা না হওয়ায় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ২০০৭ সালে অনেক স্থায়ী ও বদলি শ্রমিককে সেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাঁচা ঘর করে থাকার সুযোগ দিয়েছিল।

মিল কর্তৃপক্ষ এসব বদলি স্থায়ী শ্রমিক বসতি ছেড়ে না দিলে বকেয়া পাওনা পরিশোধ করছে না।

এ ব্যাপারে আমিন জুটমিল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিন জুট মিল সিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক, আমিন পাটকল ওর্য়ার্কাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, শ্রমিক নেতা আবদুর মোতালেব, আমিন জুট মিল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক চাঁন মিয়া প্রমুখ।