বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ে অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট চন্দন দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভূমি বিরোধের জেরে পতেঙ্গার বাসিন্দা আব্দুল নবীকে চায়নিজ কুড়াল ও মারাত্মক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দুই আসামির ফাঁসি ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।”
আসামিরা এতদিন জামিনে থাকলেও বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়ে বলে জানান আইনজীবী চন্দন দাশ।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- পতেঙ্গার ধুমপাড়া ইউসুফ বলির বাড়ির মৃত ভোলা মিয়ার দুই ছেলে বাদশা মিয়া (৫২) ও মহিউদ্দিন (৪১)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত দুজন হলেন ভোলা মিয়ার আরেক ছেলে হুমায়ন কবীর (৩৮) ও পতেঙ্গা চর পাড়ার আবদুর রাজ্জাক (৬১)।
এছাড়া মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ও জখম করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৪৮ ও ৩২৩ ধারায় দুই আসামি সাইদুল হক (৪৮) ও খায়রুল আলম (৫৬) প্রত্যেককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে সাইদুল হক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বাদশা মিয়ার আরেক ভাই।
জখম করার অভিযোগে ৩২৩ ধারায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বাদশা মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৪২) ও বাদশা মিয়ার বোন লিপি আক্তার (৩৯) নামের দুই আসামির প্রত্যেককে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৫ সালের ১৭ মে সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা থানার কাঠগড় বাজারের পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আব্দুল নবীকে (২৬) হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই জাহিদুল আলম বাদি হয়ে পরদিন ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন হয়।