র্যাব-৭ এর উপ-পরিচালক মেজর মুশফিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চোরাই ডিজেল কেনাবেচার সময় সোমবার রাতে মিন্টু বড়ুয়া (৩০) ও মো. শওকত (৩৬) নামের ওই দুই ব্যক্তিকে তারা আটক করেন।
তারা একটি ‘চোরাকারবারি চক্রের সদস্য’ জানিয়ে এ র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “মিন্টু ওই এলাকায় তেলগুলো মজুদ রেখেছিল, আর শওকত এসেছিল কিনতে। চোরাই তেল সংগ্রহ ও কেনাবেচার এমন বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় আছে।
“মিন্টুকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে বিভিন্ন ড্রাম ও প্লাস্টিকের কন্টেইনারে রাখা দুই হাজার ৭৫ লিটার ডিজেল ও অকটেন বের করে দেয়।”
মেজর মুশফিক বলেন, বিমানবন্দরের কাছে ভিআইপি সড়কে বিভিন্ন ট্রাক স্ট্যান্ডের পাশে চোরাই তেল বেচাকেনা হয়। সাধারণ সময়ে বিষয়টি বোঝা যায় না। লকডাউনে তেল আনা নেওয়ার ঘটনা বুঝতে পেরেই সেখানে অভিযান চালায় র্যাব।
চক্রটি বিভিন্নভাবে ওই তেল সংগ্রহ করত জানিয়ে মেজর মুশফিক বলেন, বহিঃনোঙরে থাকা বিভিন্ন বড় ট্যাংকার থেকে তেল খালাস করে পতেঙ্গার বিভিন্ন শোধনাগারে পাঠানোর জন্য ছোট ট্যাংকারে তোলার সময় তেল চুরি হয়। আবার কোনো কোনা সময় শোধনাগার থেকে তেল নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রাক থেকেও চুরি যায়।
এভাবে চুরি করা তেল ওই এলাকায় মজুদ করে পরে সেখান থেকে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করা হত বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।