চট্টগ্রামে 'গোলাগুলির' পর ১৮ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের এক চেকপোস্টে ‘গোলাগুলির’ পর ১৮ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2021, 05:36 AM
Updated : 17 June 2021, 11:39 AM

সাইফুল ইসলাম

বন্দরনগরীর বায়েজিদ-ভাটিয়ারি লিংক রোড থেকে বুধবার গভীর রাতে সাইফুল ইসলাম নামে ৩২ বছর বয়সী ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ‘বার্মা সাইফুল’ নামে এলাকায় পরিচিত।

গুলিবিদ্ধ সাইফুল নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির ফটকের কাছে চেকপোস্ট বসিয়ে রাতে তল্লাশি করছিল পুলিশ।

“রাত পৌনে ২টার দিকে ফৌজদারহাটের দিক থেকে তিনটি মোটর সাইকেলে করে ছয়জন লোক বায়েজিদের দিকে আসার সময় তাদের থামানোর সংকেত দেয় চেকপোস্টে দায়িত্বরত সদস্যরা। দুটি মোটর সাইকেল দ্রুত চেকপোস্ট অতিক্রম করে চলে গেলেও একটি মোটর সাইকেল রাস্তায় ফেলে দুই যুবক পাহাড়ের দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।”

“এসময় পুলিশ তাদের পিছু নিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলির পর পাহাড়ের ঢালে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও তিনটি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়,” বলেন ওসি কামরুজ্জামান।

সাইফুলের সঙ্গে থাকা অন্য যুবকটির নাম সুজন বলে তার বরাতে জানিয়েছে পুলিশ। 

গোলাগুলির মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন ওসি।

পুলিশ বলছে, সাইফুলের বিরুদ্ধে জমি দখল, মাদক চোরাচালানসহ অন্তত ১৮টি মামলা আছে।সাইফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান।

এদিকে নগর ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম জানান, তাদের সংগঠনের সাবেক নেতা সাইফুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে মামলা করা হয়েছে। সেগুলোর প্রায় সবগুলোতে তিনি জামিনে ছিলেন।

‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ কারণে সাইফুলকে গুলি করে আহত করা হয়েছে বলে দাবি তার।

তবে নগর ছাত্রদলের আহবায়কের বক্তব্য নাকচ করে ওসি কামরুজ্জামান জানান, “বার্মা সাইফুল এলাকার ও তার ভাইরা এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক ব্যবসা, জায়গা দখল ও চাঁদাবাজির সাথে সাথে জড়িত তারা।”

সাইফুলের ভাই সাইদুল ও সবুজের বিরুদ্ধে ১৮ ও ২১টি করে মামলা আছে বলে জানান ওসি।