চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি

চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন; পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মোটর সাইকেল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2021, 12:58 PM
Updated : 29 March 2021, 01:05 PM

সোমবার বিকালে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষের পর নগর মহিলা দলের সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনিহসহ অন্তত ১৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল-সমাবেশের এই কর্মসূচি দিয়েছিল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। তাতে অংশ নিতে বেলা ৩টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে মিছিল নিয়ে নাসিমন ভবনে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কাজীর দেউড়ির দিক থেকে একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময়ে পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়া হলে শুরু হয় সংঘর্ষ।  

এসময় বিএনপি কর্মীরা রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র এবং একটি মোটর সাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। দাঁড় করিয়ে রাথা আরও কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। তাদের কারও কারও হাতে ধারালো অস্ত্রও দেখা যায়।

এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সড়কে বিএনপির সমাবেশ করার অনুমতি ছিল না। একটি মিছিল সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনের মাঠে যেতে বলে। তখন তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।”

পুলিশ ধাওয়া দিয়ে বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার পর আশপাশের এলাকা ও দলীয় কার্যালয় এবং পাশের ভবনে অভিযান চালিয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জনকে আটক করে। বিএনপি কার্যালয়ের পাশের ভবন থেকে নগর মহিলা দলের নেতা মনোয়ারা বেগম মনিকে এ সময় আটক করা হয়।

‘হামলা পরিকল্পিত’, বলছে পুলিশ

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “পরিকল্পনা করে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। সেখানে শিবির কর্মীরাও অংশ নিয়েছিল।”

তিনি বলেন, “অরাজকতা তৈরির জন্য কোনো কারণ ছাড়াই মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ফুটপাতের বিভিন্ন জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভাঙচুর শুরু করে।”

এ ঘটনায় নারী পুলিশসহ অন্তত ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান উপ কমিশনার মেহেদী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সমাবেশে শুরুর সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অল্প সংখ্যক পুলিশ ছিল। এসময় মিছিল থেকে হামলা হলে পুলিশ পিছু হটে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অন্যদিকে সংঘর্ষের জন্য পুলিশকে দায়ী করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তাদের ‘শান্তিপূর্ণ’ মিছিলে পুলিশ ‘হামলা’ চালিয়েছে।     

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাতের নেতৃত্বে একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময় পুলিশ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। তাতে আমাদের ২০-৩০জন কর্মী আহত হয়েছে।

পরে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে বলে জানান বক্কর।