মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযানে যে তিনটি ইটভাটা ভাঙা হয়েছে, সেগুলো হলো- কেএনএল ব্রিকস এবং এমআরএস ব্রিকস, অন্যটি বায়েজিদ লিংক রোডের এসবি ব্রিকস।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, অধিদপ্তরের পরিচালক মেট্রো নুরূল্লাহ নূরী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকসহ র্যাব-পুলিশ, বন বিভাগ ও আনসারের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রায় এক দশক আগে নগরীর কাট্টলী সার্কেলের অধীন সরকারি খাস জমিতে কেএনএল ও এমআরএস নামের ইটভাটা দুটি গড়ে ওঠে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনে প্রায় শতাধিক একর সরকারি খাস জায়গা দখল করে কেএনএল ব্রিকস এবং প্রায় ৫০ একর জমিতে এমআরএস ব্রিকস নামক ইটভাটাটি গড়ে উঠে।
“২০১১ সালে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করায় কেএলএনকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এরপর ২০১৩ সালে তারা ওই জরিমানার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করে। গত বছরের শেষ দিকে রিটটি খারিজ করা হয়। এরপর আজ অভিযান চালানো হল।”
কেএমএল ব্রিকস নামের ইটভাটাটি বন্দরটিলা এলাকার আক্তার কামাল এবং এমআরএস ব্রিকস নামের ইটভাটাটি উত্তর কাট্টলী এলাকার শহীদুল ইসলামের মালিকানাধীন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে অভিযানের সময় তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
অভিযানে ইটভাটাগুলোর চিমনি ধ্বংস করা হয়। এছাড়া সেখানে থাকা ইট, ইট তৈরির কাঁচামাল ও শ্রমিকদের ঘর ভেঙে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, দখলমুক্ত জমি চিহ্নিত করে সীমানা চিহ্ন ও খুঁটি দিয়ে জেলা প্রশাসনের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
এরপর অভিযান দল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড এলাকায় এএসবি ব্রিকস নামের অবৈধ আরেকটি ইটভাটা ভেঙে দেয়।
স্থানীয় আবদুল হালিমের মালিকানাধীন ওই ইটভাটায় পাহাড় কাটার প্রমাণ পায় অভিযানকারীরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ইটভাটা তিনটির কোনো লাইসেন্স ও পরিবেশ সনদ নেই। বন উজাড় করে এগুলো করা হয়েছে। তিনটি ইটভাটায় মোট পাঁচ লাখ ইট ধ্বংস করা হয়।
এদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।