সময় সীমিত হলেও চেষ্টা করছি আপ্রাণ: সুজন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, স্বল্প সময়ের জন্য নগরকর্তার দায়িত্ব পেলেও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2020, 03:55 PM
Updated : 16 Nov 2020, 03:55 PM

সোমবার নগরীর টাইগার পাসে অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে লেক সিটি হাউজিং সোসাইটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

মহামারীর কারণে ভোট না হওয়ায় মাত্র ১৮০ দিন মেয়াদের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা সুজন।

সভায় তিনি বলেন, “আমি সাময়িক সময়ের জন্য করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। ১২০০ কোটি টাকার দেনার বোঝা নিয়ে রুটিন কাজের পাশাপাশি নগরীর নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন করতে গত তিন মাসে আপ্রাণ চেষ্টা চালালাম।

“সিসিসি অফিসের অব্যবস্থাপনা ঠিক করতে ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে দেখি নগরবাসী তাদের নানান সমস্যা নিয়ে আমার কাছে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান আমার একার পক্ষে এই সীমিত সময়ে করা সম্ভব নয়।”

অনুষ্ঠানে লেক সিটি হাউজিংয়ের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উল্লাহ অতীতে টাকা দেওয়ার পরও অল্প কয়েকটি প্লট ছাড়া বাকি মালিকদের প্লট বুঝিয়ে না দেওয়ার বিষয়টি প্রশাসককে জানান।

সিসিসি’র মালিকানাধীন এই আবাসন প্রকল্পের বিষয়ে প্রশাসক সুজন বলেন, “আপনাদের সাথে অতীতে যা হয়েছে, তা অন্যায়। এটা কাম্য ছিল না। এই সমস্যার যাতে একটা সুরাহা করা, সেজন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।

“আপনাদের এই সমস্যার সমাধানে দু-একদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বরাবরে পত্র প্রেরণ করে ওনার নির্দেশনা চাইবো। মন্ত্রণালয় যা বলবে, সেই মতে ব্যবস্থা হবে। এর বেশি আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়।” 

এ সময় সিসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, লেক সিটি হাউজিং এর সভাপতি এ কে এম মুজিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।

বিদেশি তহবিলের প্রকল্পে ব্যয়ে স্বচ্ছতা চাই’

প্রশাসক সুজন বিদেশি তহবিলে পরিচালিত প্রকল্পের অর্থ সতর্কতা অবলম্বন ও পেশাদারিত্ব রক্ষার মাধ্যমে ‘স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’ ব্যয় করার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (এলআইইউপিসি) প্রকল্পের সেটেলমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট ফান্ড বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া অবহিতকরণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রশাসক সুজন বলেন, “এভাবে কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব।”

দরিদ্র মানুষদের জীবনমানের উন্নয়নে ব্যবসা, শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইউকেএইড ফরএইন কমনওয়েলথ ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিইউ) এর অধীনে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

কর্মশালায় সিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন খান বক্তব্য রাখেন।