এগারো দাবিতে সোমবার মধ্য রাত থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল এবং ভোগ্যপণ্য লাইটার (ছোট আকারের) জাহাজে ওঠানামা বন্ধ থাকলেও বন্দরের জেটিতে কন্টেইনার জাহাজে পণ্য ওঠানামা অব্যাহত আছে।
সাধারণত বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য নিয়ে কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঘাটে নিয়ে খালাস করে লাইটারেজ জাহাজ।
“গতকালও ঢাকায় বৈঠকে দীর্ঘ বৈঠকে মালিকপক্ষ রাজি হয়নি। আমাদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ। আমরা আর সময় দিতে পারব না।”
চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় এক হাজার ছয়শ লাইটার জাহাজ চলাচল করে জানিয়ে নবী আলম বলেন, “চট্টগ্রাম অঞ্চলে আমাদের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক এবং সারাদেশে মোট দুই লাখ শ্রমিক আছে। আউটারে কোনো কাজ চলছে না। যে যেখানে আছে সে সেখানে অবস্থান করবে।”
লাইটারেজ জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ বলেন, “ধর্মঘটের কারণে বহির্নোঙ্গরে কাজ বন্ধ আছে। তবে কত লাইটারেজ আছে সেটা এখনই জানাতে পারছি না।”
তবে কয়টি জাহাজ বহির্নোঙ্গরে আছে তা জানাতে পারেননি বন্দর সচিব।
“ধর্মঘটের কোনো প্রভাব কন্টেইনার জেটিগুলোতে পড়েনি। সেখানে কন্টেইনারবাহী জাহাজ থেকে কন্টেইনার ওঠানামার কাজ চলছে,” বলেন ওমর ফারুক।
নৌযান শ্রমিকদের দাবির মধ্যে আছে- সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস ও মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা প্রদান, বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ২০১৬ সালের গেজেট অনুসারে বেতন দেওয়া, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা করা।