নৌযান ধর্মঘট: বহির্নোঙ্গর, কর্ণফুলীর ঘাটে পণ্য খালাস বন্ধ

পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর এবং বিভিন্ন ঘাটে অবস্থানরত জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2020, 06:18 AM
Updated : 20 Oct 2020, 06:18 AM

এগারো দাবিতে সোমবার মধ্য রাত থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল এবং ভোগ্যপণ্য লাইটার (ছোট আকারের) জাহাজে ওঠানামা বন্ধ থাকলেও বন্দরের জেটিতে কন্টেইনার জাহাজে পণ্য ওঠানামা অব্যাহত আছে।

সাধারণত বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য নিয়ে কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঘাটে নিয়ে খালাস করে লাইটারেজ জাহাজ।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নবী আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত ১২টা থেকে সমস্ত লাইটার বন্ধ রাখা হয়েছে। যতক্ষণ ১১ দফা দাবি মানা হবে না ততক্ষণ ধর্মঘট চলবে। দুই বছর ধরে আমাদের এ আন্দোলন চলছে।

“গতকালও ঢাকায় বৈঠকে দীর্ঘ বৈঠকে মালিকপক্ষ রাজি হয়নি। আমাদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ। আমরা আর সময় দিতে পারব না।”

চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় এক হাজার ছয়শ লাইটার জাহাজ চলাচল করে জানিয়ে নবী আলম বলেন, “চট্টগ্রাম অঞ্চলে আমাদের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক এবং সারাদেশে মোট দুই লাখ শ্রমিক আছে। আউটারে কোনো কাজ চলছে না। যে যেখানে আছে সে সেখানে অবস্থান করবে।”

লাইটারেজ জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ বলেন, “ধর্মঘটের কারণে বহির্নোঙ্গরে কাজ বন্ধ আছে। তবে কত লাইটারেজ আছে সেটা এখনই জানাতে পারছি না।”

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, “বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজগুলো অপেক্ষায় আছে। সেগুলোর কোনোটিতেই লাইটার যায়নি। তাই পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ আছে।”

তবে কয়টি জাহাজ বহির্নোঙ্গরে আছে তা জানাতে পারেননি বন্দর সচিব।

“ধর্মঘটের কোনো প্রভাব কন্টেইনার জেটিগুলোতে পড়েনি। সেখানে কন্টেইনারবাহী জাহাজ থেকে কন্টেইনার ওঠানামার কাজ চলছে,” বলেন ওমর ফারুক।

নৌযান শ্রমিকদের দাবির মধ্যে আছে- সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস ও মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা প্রদান, বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ২০১৬ সালের গেজেট অনুসারে বেতন দেওয়া, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা করা।