চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০১ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মোট নয়টি কেন্দ্রে ৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, “চলতি মাসে শনাক্তের হার ৮ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। গত মাসে ৫ থেকে ৭ শতাংশ ছিল। সে হিসেবে শনাক্তের হার বেড়েছে।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাতাকানিয়ার এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন।
এরপর ১০ জুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়।
এর ২৮ দিন পর ৭ জুলাই মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। সেদিন ছয়জন মারা গেলে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ২০৪ জন।
চট্টগ্রামে জুলাইয়ে ৫৮ জন, অগাস্টে ৩৯ জন, সেপ্টেম্বরে ২২ জন মারা যান। চলতি মাসে আরও আটজন মারা গেলেন।
সে হিসেবে প্রায় তিন মাস এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে চট্টগ্রাম জেলায় শেষ একশ জনের মৃত্যু হলো।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাবে, চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার এক দশমিক পাঁচ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত জেলায় এক লাখ ১৫ হাজার ৯৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ হাজার ৮০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্ত এবং মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই নগরীর বাসিন্দা। কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ হাজার ৩৫২ জন নগরীর এবং পাঁচ হাজার ৪৫৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে ২০৮ জনই নগরীর বাসিন্দা।
বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ১১৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬৪ জন কোভিড-১৯ রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৩৮ জন।