বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে তারা এ মানববন্ধন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানায়।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা যারা করোনাকালীন মেস-কটেজ-বাসা ভাড়া পরিশোধে অপারগ তাদের তালিকা প্রণয়ন, মেস-কটেজ-বাসা ভাড়া সংকট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে এবং বন্ধ ক্যাম্পাসে মেস-কটেজসমূহে সাম্প্রতিক চুরির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।
মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র দেওয়ান তাহমিদ বলেন, করোনভাইরাস মহামারীর কারণে এক ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের উপরও। '৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা হলেও এর আবাসন সংকট এখনো তুঙ্গে।
“এই করোনার সময়ে বাসা-মেস-কটেজ ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা। তাই এই মেস-কটেজ ভাড়া সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আসরাফি নিতু বলেন, “৭৩’র অধ্যাদেশ অনুযায়ী পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন সংকট রয়েছে। এর উপরে হল দখলের রাজনীতির কারণে এই সংকটটা আরও বেশি।
“শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটের ব্যর্থতার দায় প্রশাসনের। একারণেই বাসা-মেস-কটেজ ভাড়ার সংকটের দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও সমস্যা নিরসনে তেমন কোনো অগ্রগতি পাওয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বাসা-মেস-কটেজ ভাড়ার দায়িত্ব নেওয়ার দাবি জানাই।"
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের নিলয়, রুমেন চাকমা, রোনাল চাকমাসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।