৪ থেকে ১৭ অক্টোবর ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০ এর আওতায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এরমধ্যে ছয়-১১ মাস বয়সী মোট এক লাখ ৭০ হাজার ২১৯ জনকে একটি করে নীল রঙের এবং ১১ লাখ ৫০ হাজার ৫২০ জন ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ বিষয় সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় জেলার এ তথ্য দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, জেলার ১৫টি উপজেলায় এবার মোট ৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৩ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এরমধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৮৮ হাজার ৭১৩ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ছয় লাখ ৯৮ হাজার ৫২০ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
“ইতিমধ্যে সব ক্যাপসুল উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব ব্যবস্থা রয়েছে।”
ক্যাম্পেইন চলাকালীন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম (ফোন নং-০৩১৬৩৪৮৪৩) চালু থাকবে।
জেলার ১৫ উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নের ৬০০টি ওয়ার্ডে, ১৫টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি অস্থায়ী কেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮০০টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হভে।
কোনো শিশু যাতে বাদ না পড়ে সে জন্য জেলার ১৫টি উপজেলায় মাইকিং, মসজিদ, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখা হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।
জেলার পাশাপাশি একই সময়ে নগরীতে ৮১ হাজার ৫০০জন ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল এবং চার লাখ ৫২ হাজার জন ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।
বুধবার এ বিষয়ে মেনন মাতৃসদন হাসপাতালে অনুষ্ঠিত সংবদ সম্মেলন সিসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী জানান, নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার পাঁচশ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
“এটা শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তা-ই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, জোনাল মেডিক্যাল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. জুয়েল মহাজন, ডা. আকিল মো. নাফে, ডা. সুমন তালুকদার প্রমুখ।