রোববার রাতে এক শোক বার্তায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংবিধানের ৫ম, ৭ম, ত্রয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনী মামলায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ‘ইতিহাসের অংশ’ হয়েছেন।
“তিনি আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন।”
শিক্ষা উপমন্ত্রী প্রয়াতের শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক শোক বার্তায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক মামলার শুনানি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
“দেশের আইন ও বিচার বিভাগকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আলোকে এনে যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে তাদের মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য নাম। তার মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞকে হারালো।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আমৃত্যু অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
“জাতির পিতার হত্যা মামলা ও জাতীয় চার নেতার হত্যা মামলাসহ অসংখ্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তিনি ঐতিহাসিক অবদান রেখেছেন। জাতির ইতিহাসে তার এ অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে মাহবুবে আলম বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পরিচালনায় অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন একজন প্রথম সারির যোদ্ধা। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।”