পাহাড়তলী থানার ডিটি রোড এলাকা থেকে শনিবার পারভীন আক্তার (৫০) নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি তারেক আজিজ জানান।
সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং গ্রহকরা অভিযোগ করলে র্যাব এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে জানিয়ে এএসপি তারেক বলেন, “পারভীন তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার সময় কর্মচারীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা জামানত নিতেন। সাপ্তাহিক, মাসিক ভিত্তিতে তার প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় করতে মানুষকে প্রলুব্ধ করতেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাদের টাকা পরিশোধ করতেন না।”
তিনি বলেন, “পারভীন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে অনুদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও আবেদন করতেন। সম্প্রতি ভুতুড়ে কার্যক্রম দেখিয়ে তিনি একটি মন্ত্রনালয়ে ৬ কোটি টাকার বেশি প্রকল্পের ভুয়া তথ্য জমা দিয়েছিলেন।”
তারেক আজিজ জানান, প্রতারণার কারণে সমবায় অধিদপ্তর ২০১৪ সালে ওই সমবায় প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছিল। তারপরও তিনি প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। পারভীনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।