বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ডের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হল।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে স্থগিত হওয়া সিটি নির্বাচনের কার্যক্রমে ‘গতি আনতে’ এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া রেজাউল করিম নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বৃহস্পতিবারের সভায় রেজাউল দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “নির্বাচন কমিশনার থেকে যখনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হোক না কেন, যাতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষ্যে মাঠে কাজ করতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. জসিম উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক খালেদ হোসেন খান মাসুক, আহবায়ক কমিটির সদস্য এস এম আনোয়ার মির্জা, ইমতিয়াজ চৌধুরী, আহমেদুর রহমান, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সর্বশেষ মেয়র ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তার মেয়াদপূর্তিতে ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ রেখে তফসিল দিয়েছিল ইসি। কিন্তু মহামারীর কারণে ভোটের সপ্তাহ খানেক আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়।
পরে ৪ অগাস্ট সিসিসির প্রশাসক পদে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে নিয়োগ দেয় সরকার।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করলে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন এবং যেখানে ভোট স্থগিত হয়েছিল সে অবস্থা থেকে নির্বাচন হবে।
স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।
স্থগিত হওয়া নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মিনার), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী (হাতি)।