চট্টগ্রামে ৮ মামলায় বিএনপির ১৬ জন কারাগারে

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার নাশকতার আট মামলায় বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2020, 11:53 AM
Updated : 24 Sept 2020, 11:53 AM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন। এসব মামলায় বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে জামিন দিয়েছেন তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাশকতার এসব মামলায় আসামিরা হাই কোর্ট থেকে চার ও ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

“আমরা জামিন আবেদনের বিরোধিতা করি। শুনানি শেষে আদালত ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন এবং বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় ১০ জনকে জামিন দিয়েছেন।”

কারাগারে যাওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন- চট্টগ্রাম নগর কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, নগর নেতা ডা. ফরহাদ, রুহুল আমিন, হাসান সওদাগর, মনজুরুল আলম, নগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, এরশাদ হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ খোকন, সহ প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, সহসম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন ভূট্টো, হুমায়ুন কবীর, সদস্য মোহাম্মদ নাছির, ছাত্রদল নেতা ফখরুল ইসলাম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আকবর হোসেন ও খাজা স্বপন।

আসামিদের আইনীজী নাজমুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এগুলো ২০১৮ সালের গায়েবী মামলা।”

এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর নাশকতার কয়েকটি মামলায় বিএনপির ১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর নয়জনকে কারাগারে পাঠায় আদালত। ১০ সেপ্টেম্বর ৩০ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ হয়।

এরপর আরও কয়েকটি মামলায় গত তিন সপ্তাহে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মোট ৬৬ নেতাকর্মীকে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় কারাগারে পাঠানো হল।

উদ্দেশ্য ভোটের আগে আতঙ্ক ছড়ানো: শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত রাখতে তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নগর কমিটির সভাপতি ও সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।

শাহাদাত হোসেন বলেন, “সামনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আর সে নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত রেখে রাতের ভোট করার কৌশল হিসাবে এখন থেকে সরকারের নির্দেশনায় বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মামলা-হামলা করেই সরকার আবারও বিনা ভোটের নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।”

সমাবেশে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “যদি মামলা প্রত্যাহার করে জেল-জুলুম বন্ধ করা না হয়, তাহলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। সরকারকে কঠোর হাতে জবাব দেওয়া হবে।

“জেল-জুলুম সহ্য করতে করতে বিএনপি নেতাকমীর্দের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জেলের ভয় বিএনপি নেতাকমীর্রা পায় না।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আবদুস সাত্তার, সাত্তার সরোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, হকার সম্পাদক আবদুল বাতেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ শ্রম সম্পাদক আবু মুছা, সহ প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হাই প্রমুখ।

এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।