মহামারীকালে অনলাইন শিক্ষায় জোর মেয়র নাছিরের

মহামারীকালে শিক্ষাবর্ষ সচল রাখতে অনলাইনে শিক্ষায় জোর দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2020, 04:56 PM
Updated : 9 July 2020, 04:56 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে আরবান স্লাম আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণের সময় তিনি একথা বলেন।

মেয়র নাছির বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারী দেশের শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষাবর্ষকে দাবিয়ে রেখেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও একেবারে হাত-পা গুটিয়ে শিক্ষার্থীদের বসে থাকতে হবে না।

“প্রযুক্তি তাদেরকে এই আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছে তা ব্যবহার করে শিক্ষা পাঠ গ্রহণ চালিয়ে যেতে সরকার যে উদ্যোগগুলো নিয়েছেন তাকে পালন ও অনুসরণ করতে পারলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের তৈরী করে নিতে পারবে।”

তিনি বলেন, “তবে এটাও ঠিক শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এবং যে পরিবারগুলো দারিদ্রসীমার নিচে তাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা ভোগ করার মত সামর্থ্য নেই। স্বাভাবিক অবস্থায়ও শিক্ষাপাঠ গ্রহণ বা অধ্যয়ন প্রযুক্তিনির্ভর।

“ইন্টারনেট এক্ষেত্রে একটি সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা। সরকার চিন্তা করছেন ইন্টারনেটের গতিকে অধিকতর দ্রুত করতে এবং এই ইন্টারনেটের আওতায় শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণে আনা।”

মেয়র নাছির বলেন, “আজকের এই সংকট একদিন কেটে যাবে কিন্তু তারপরও এর জের অনেকদিন ধরে থাকবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম তখন তাদের যোগ্যতা মেধা ও সক্ষমতা দিয়ে মোকাবেলা করতে পারে সেজন্য এখন থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।”

এসময় কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মাদ আবুল হাশেম, নিউ মার্কেট কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, হাজী বেলাল আহমদ, আনিসুর রহমান চৌধুরী, শ্রমীকলীগ নেতা মোহাম্মদ হারুন, চর চাক্তাই সিটি কর্পোরেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানিক চন্দ্র বৈদ্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য কলেজিয়েট স্কুল-৮৬ ব্যাচ এর হাইফ্লো ন্যাজাল অক্সিজেন ক্যানোলা প্রদান অনুষ্ঠানে যান মেয়র।

সেখানে সিটি মেয়র নাছির বলেন, “করোনাকালে সরকারের চিকিৎসা সেবাখাতের সক্ষমতা, মান ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। যারা প্রশ্ন তুলছেন বা সমালোচনা করছেন তাদের পরামর্শ ও সমাধানের উৎসকে অবশ্যই আমলে আনা হবে।

“অভিজ্ঞতার অভাব, সীমাবদ্ধতা ও বিরূপ পরিস্থিতির আকষ্মিকতায় সক্ষমতার সংকট কাটিয়ে উঠতে বেসরকারি সামাজিক উদ্যোগ ও সহায়তা একটি ইতিবাচক আশা জাগানিয়া পদক্ষেপ।”

এসময় চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার হুমায়ুন কবীর, অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ শামীম হাসান, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী,ডা. মনজুর মোর্শেদ ফিরোজ,ডা. শাহ মো. ইমরান,ডা. সাগর চৌধুরী,ডা. মুশফিকুর রহমান পিকু, কাউন্সিলর আবদুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।