রোববার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অভিযানে গিয়ে ক্রয় মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে মসলা বিক্রি করতে দেখে চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এবার পর্যাপ্ত মসলা আমদানি হয়েছে। বাজারে মসলার কোনো ঘাটতিও নেই। কিন্তু কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কৌশলে এখন থেকেই মসলার দাম বাড়ানো হচ্ছে।
“এভাবে মাস খানেক আগে থেকে দাম বাড়ানো হলে ঈদের আগে আগে এই বাড়তি দামই এসব মসলার দাম হিসেবে বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।”
অভিযান দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মসলার পাইকাররা তাদের মূল্য তালিকা ঘষামাজা করে বিক্রয় মূল্য কমিয়েও ফেলেছিল।
অভিযান দল পাইকারদের মসলা কেনার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখে, তাদের বিক্রয় মূল্য ও ক্রয় মূল্যে বিস্তর ফারাক।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক জানান, প্রতিকেজি এলাচি তাদের কিনতে হয়েছে ২৪১০ টাকায়। অথচ মূল্য তালিকায় এলাচির দাম লেখা ২৮০০ থেকে ৩৬০০ টাকা।
“একই পণ্যের বিক্রয় মূল্যে আটশ টাকার কম-বেশি কেন জানতে চাইলে, ব্যবসায়ীরা দাবি করেন মানভেদে এই দাম লেখা হয়েছে। অথচ কোন মানের এলাচির কত দাম সেটা মূল্য তালিকায় নেই।”
পাশাপাশি ২৪০ টাকায় কেনা দারুচিনি ৩৭০- ৪০০ টাকা পর্যন্ত, ২৭০ টাকার জিরা ৪০০ টাকায়, গোল মরিচ ৪২০টাকা থেকে ৬২০ টাকায় এবং লবঙ্গ ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
উমর ফারুক বলেন, দারুচিনি ও জিরা কেজিতে ১৬০ ও ১৩০টাকা লাভে বিক্রি করা হচ্ছিল। গোল মরিচ ও লবঙ্গের ক্রয় রশিদও দেখাতে পারেনি তারা।
অভিযানে বেশি দামে মসলা বিক্রি ও মূল্য তালিকায় হেরফের করায় খাতুনগঞ্জের মেসার্স নারায়ণ ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মসলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযান চলবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।