মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় পার্ক ভিউ হাসপাতালের সামনে ‘নন-কোভিড রোগী চিকিৎসা সহায়তা আন্দোলন’র উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
চট্টগ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ধারাবাহিকভাবে অন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সামনেও এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়।
“মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কতিপয় অমানবিক ক্লিনিক মালিক। মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের ক্লিনিকের সদর দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এর পরিণাম ভালো হবে না।”
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, “চট্টগ্রাম মহানগরে পর্যাপ্ত সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল থাকার পরও রোগীরা সেবা পাচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১২১টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ১০০ এর মত আইসিইউ শয্যা খালি পড়ে আছে।
এই আন্দোলনের মুখপাত্র হাসান মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের কাছ থেকে চিকিৎসা দেওয়ার লাইসেন্স নিয়ে মানুষকে সেবা না দেওয়া- মানুষ খুনের সমতুল্য অপরাধ।
“মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি এ রকম অমানবিক আচরণে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ স্তম্ভিত। এ রকম নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে আগামীতেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে।”
সব রকম রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাওয়ার ঘটনার বিচারও দাবি করা হয় সমাবেশ থেকে।
ভবিষ্যতে বিনা চিকিৎসায় আর কোনো রোগী মারা গেলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।