মঙ্গলবার অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর পরিচালকের কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়।
সাত দিনের মধ্যেই ওই দুই ব্যক্তিকে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের এই টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
এরমধ্যে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার জালালাবাদ মৌজার আরেফিন নগর এলাকায় প্রায় ৩২ হাজার ছয়শ ঘনফুট পাহাড় কাটায় ৩২ লাখ ৬০ হাজার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়।
হাফেজ মো. আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি সেখানে মাটি কেটে দুই পাহাড়ের মাঝে একটি ‘টানেল’ তৈরি করেন এবং পাহাড়েরর উপরের অংশে টিন শেড ঘর নির্মাণ করেন।
সেখানকার জালালাবাদ তালেমুল কোরআন মাদ্রাসা নামের একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মো. আবু তৈয়ব। মাদ্রাসাটির পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর পাশের পাহাড় কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদ্রাসার অংশ নাল জমি। সেখানে মো. আবু তৈয়বের কিছু কেনা জমি আছে। মাদ্রাসা তার জমিতে আগেই স্থাপন করা।
“এর বাইরে একটি পাহাড়ের উপরের দুটি অংশ কাটা হয়েছে। পাশাপাশি দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী অংশ কেটে টানেলের মত একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। টানেল তৈরির জন্য প্রায় ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি ক্ষতিপূরণ পাহাড়ের ওপরের দুটি অংশ কাটার জন্য।”
সরকারি খাস জমিতে থাকা পাহাড় কেটে টানেলটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী।
রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আজহারল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাহাড় কেটে যেসব কাঠামো করা হয়েছে সেগুলো ঘর হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন মো. আবু তৈয়ব।
অন্যদিকে ফয়’স লেক এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার ঘনফুট পাহাড় কেটে সেমিপাকা ঘর তৈরি করায় স্থানীয় স্থানীয় আলী শাকের মুন্নাকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী বলেন, “ওই এলাকায় পাহাড় কাটার বিষয়টি আমাদের দল কয়েকদিন আগে পরিদর্শন করে। আজ শুনানি শেষে এই ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়।”