মাস্ক মুখে, দূরত্ব রেখে চট্টগ্রামে ঈদ জামাত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ভিন্ন আবহে ঈদের জামাত হয়েছে চট্টগ্রামের মসজিদগুলোতে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2020, 07:13 AM
Updated : 25 May 2020, 07:13 AM

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দূর্ত রেখে কাতার করে ঈদের নামাজে শরিক হয়েছে হাজারো মুসলমান।

বন্দর নগরীতে সোমবার সকাল ৮টায় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে প্রধান ঈদের জামাত হয়। ইমামতি করেন মসজিদের খতিব সাইয়েদ মাওলানা আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন আল কাদেরী।

অন্যবারের মত এবার মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজের ব্যবস্থা ছিল না। তবে দূরত্ব রাখার নিয়ম মানতে গিয়ে মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে নামাজের কাতার সিঁড়ি পেরিয়ে প্রাঙ্গণেও বিস্তৃত হয়।

মাঠের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে মানুষ নামাজে দাঁড়ালেও অন্যবারের মত সামিয়ানা ছিল না।

চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে সোমবার সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদুল ফিতরের নামাজ। ছবি: সুমন বাবু

মাঠে সারিবদ্ধ মানুষের শেষাংশে কিছু গাড়িও লাইন ধরে দাঁড়িয়েছিল। দুয়েকজনকে গাড়িতে বসেও নামাজ পড়তে দেখা যায়।

যারা নামজ পড়তে এসেছিলেন, তাদের মুখে ছিল মাস্ক। কারো কারো হাতে গ্লাভসও ছিল।

নামাজ শেষে করোনভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়াও চাওয়া হয়। তবে অন্যবারের মত কোলাকুলি বা হাত মেলাতে দেখা যায়নি মানুষকে।

নামাজ শেষে খতিব সাইয়েদ মাওলানা আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন আল কাদেরী সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ঈদের জামাত এবার সরকার মসজিদে আদায় করতে বলেছেন। আমরা ঠিক সেভাবে আদায় করেছি। ঈদের জামাত মাঠেও আদায় করা যায়, মসজিদেও আদায় করা যায়। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এবার মসজিদে ঈদের জামাত হল।”

পৌনে ৯টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. আহমেদুল হক।

প্রতিবছর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরল সম্মিলন ঘটে। তবে এবার তারা ছিলেন না।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এ মসজিদেই নামাজ পড়েন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ঈদের নামাজ পড়েন এম এ আজিজ স্টেডিয়াম মসজিদে।

চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে সোমবার সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদুল ফিতরের নামাজ। ছবি: সুমন বাবু

নামাজ শেষে মেয়র নাছির গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “চট্টগ্রাম শহরে প্রধান যে ঈদের জামাত হত জমিয়তুল ফালাহয়, সেটা এবার মসজিদ প্রাঙ্গণে না হয়ে মসজিদে হয়েছে। শহরের প্রত্যেকটা মসজিদে এক বা একাধিক ঈদ জামাত হয়েছে।

“নগরবাসীর কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে যে আহ্বানটি জানিয়েছেন- প্রত্যেকে যেন নামাজ শেষে ঘরে অবস্থান করেন। এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ আনন্দটা ভাগাভাগি করে নেন। প্রতিবেশীর প্রতি যে দায়িত্ব সেটা যথাযথভাবে সম্পাদন করেন।”

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন সিআরবি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়েন।

নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং পৌনে ৯টায় দুটি ঈদ জামাত হয়।

পাশাপাশি নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মসজিদগুলোতে মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়।