বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “নভেল করোনাভাইরাসের ইনকিউবিশন পিরিয়ড বা রোগ সঞ্চার থেকে প্রথম লক্ষণ দেখা দেওয়ার সময় কমপক্ষে ১৪ দিন। এই কারণে আগামী দুই সপ্তাহ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
“কারণ এর মধ্যে যদি কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে তার লক্ষণ প্রকাশ পেতে আগামী কয়েক দিন লাগবে। এই কারণে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়িয়েছে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সকল নগরবাসীকে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে মেয়র নাছির বলেন, “সরকারি খাদ্য সহায়তা নিয়ে কোনো রাজনীতি কাম্য নয়। ইতোমধ্যে সরকারি সংস্থার লোকজন এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছেন। এতে কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার দ্বিধাবোধ করবে না।
“তাই সরকারি খাদ্য সহায়তা যত দ্রুত সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অভুক্তদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে।”
মেয়র নাছির বলেন, “নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ত্রাণ-সামগ্রী বিলি বণ্টন হচ্ছে। এতে করে সরকারি খাদ্য সহাযতা কেউ কেউ একাধিকবার পাচ্ছে আবার কেউ কেউ একদমই পাচ্ছে না।
“এই ধরনের অভিযোগ কারও কাম্য নয়। তাই সরকারি খাদ্য সহায়তা এবং সমাজের বিত্তবান, এনজিওর মাধ্যমে প্রাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বিলি বণ্টনের ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ বাঞ্ছনীয়।”
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার অসচ্ছল ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার তালিকা করে সে অনুসারে সরকারি খাদ্য সহায়তা কিংবা বিত্তবান এবং এনজিও বা সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া সব খাদ্য সমগ্রী বিলি বণ্টন করলে কেউ বাদ যাবে না বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রামের মেয়র।