মঙ্গলবার কক্সবাজারের বাসিন্দা ওই নারীর করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর বুধবার থেকে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারাসহ সভায় উপস্থিতরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা শুরু করেন।
এর আগে ২২ মার্চ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তীর কক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ক ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী গ্রামের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব ওই নারী ওমরাহ শেষে ১৩ মার্চ দেশে ফেরেন।
চট্টগ্রাম নগরীতে ছেলের বাসায় একদিন অবস্থানের পর তিনি চকরিয়ায় নিজ বাড়িতে ফিরে যান। সেখানে অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নমুনা সংগ্রহের পর ঢাকায় পাঠানো হলে মঙ্গলবার তার করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
এরপর মঙ্গলবার রাতেই নগরীর নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ৭ নম্বর রোডের ওই নারীর এক ছেলের বাসা যে ভবনে সেই তিনতলা ভবনটি ‘লকডাউন’ করে পুলিশ। ওই বাসায় একদিন থেকেই কক্সবাজার গিয়েছিলেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত নারী।
একইসাথে নগরীর বাকলিয়া থানার সৈয়দ শাহ রোডে ওই নারীর অন্য ছেলের বাসাও ‘লকডাউন’ করা হয়। ওই নারী এই বাসাতে না এলেও তার ছেলের বউ তার সাথে দেখা করতে চান্দগাঁওয়ের বাসাটিতে গিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
এ দুটি বাড়ি পুলিশ অবরুদ্ধ করার পরই চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ওই নারীর আরেক সন্তানের উপস্থিতিতে সভা হওয়ার বিষয়টি বোর্ড কর্মকর্তাদের নজরে আসে।
২২ মার্চের সভায় শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ, কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন কলেজের ১৩ জন অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২১ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক যে সভা হওয়ার কথা ছিল জনসমাগম এড়াতে তা পাঁচ দিনে ভাগ করা হয়। ২১ থেকে ২৫ মার্চ পাঁচটি আলাদা সভা নির্ধারণ করা হয়।
“২২ মার্চের সভায় বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা তিনজনসহ মোট ১৬ জন উপস্থিত ছিলাম। তবে কক্সবাজারের একটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ উনার মায়ের অসুস্থ থাকার বিষয়টি আমাদের না জানিয়ে সভায় হাজির হন।”
অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, “গতকাল উনার মায়ের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর তা আমরা জানতে পারি। আজ থেকে আমরা (বোর্ডের তিন কর্মকর্তা) হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। অন্য ১৩ জনকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
“ওই শিক্ষক এখনও সুস্থ আছেন বলেই জানি। তিনি সচেতন না হয়ে ভুল করেছেন।”